পাতা:বংশ-পরিচয় (দশম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্রীহট্ট-পাইলগাঁওয়ের সুখময় চৌধুরীর বংশ শ্ৰীহট্ট পাইলগাঁওয়ের সুখময় চৌধুরী বংশের প্রতিষ্ঠাতা। কানাই ধর চিত্রগুপ্ত ধরের পুত্র ছিলেন। চিত্ৰগুপ্ত প্ৰাচীন মঙ্গলকোট সহরে বাস করিতেন। এই মঙ্গলকোট বৰ্ত্তমানে বৰ্দ্ধমান জেলার একটি অংশ। এই মঙ্গলকোটে শ্ৰীমন্ত সদাগর বাস করিতেন। বাঙ্গালা সাহিত্যে ও পৌরাণিক আখ্যায়িকায় মঙ্গলকোটের নাম দৃষ্ট হয়। প্ৰায় অষ্টশতাব্দী পূর্বে কানাই ধর এই জেলাতে যান এবং আতুয়াজান পরগণার পাইলগাঁয়ে অবস্থিতি করিতে থাকেন। তিনি পৈতৃক নিবাস কেন ত্যাগ করিয়াছিলেন তাহার কোনই স্মারকলিপি নাই । তিনি পাইলগায়ে স্থায়ী বাটী নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন । অদ্যাপি তাহার বংশধরগণ সেখানে বাস করিতেছেন । এই বংশের বৰ্ত্তমান সর্বময় কৰ্ত্তা শ্ৰীযুক্ত সুখময় চৌধুরা কানাই। ধরা হইতে অষ্টাদশ অধস্তন পুরুষ। কানাই। ধরা হইতে দ্বাদশ বংশধর মাধবরামেব সময় এই বংশ জ্ঞানে, গুণে, ঐশ্বৰ্য্যে ও সম্পদে গণনীয় হইয়া পড়ে এবং সাজাহান বাদাসা। গাজীর তদীয় একত্রিংশবর্ষীয় রাজ্যাভিষেকের সময় পুত্র সাহা মহম্মদ সুজা বাহাদুর কর্তৃক আতুয়াজান পরগণায় প্রধান চৌধুরী-পদে প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিলেন । ১০৬৮ হিজরিতে মাধবরামকে সনন্দ দেওয়া হয়। সেই সনন্দে আছে যে, মাধবরাম তাহার পিতৃপিতামহের আবাস হইতে ৮৭০০২ কাহিন কড়ির জমা দখল করিয়া আসিতেছেন এবং যত হাকিম আমিন জায়গীরদার থাকিবে, তাহারা