পাতা:বংশ-পরিচয় (দশম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

वश्i-*ब्रि5 à tà করিয়াছিলেন। স্বপাকভোজন ও তাহার আনুসঙ্গিক কৰ্ম্ম, পুস্তকলিখন প্ৰভৃতি বহু আয়াসসাধ্য ব্যাপারে ব্যাপৃত থাকিয় তাহাকে অধ্যয়ন করিতে হইত। তাহার ফলে তিনি পরবর্তীকালে সুবিদ্বান ও সুচিকিৎসকরূপে প্ৰভূত যশঃ উপাৰ্জনে সমর্থ হইয়াছিলেন। নীলাম্বরের পিতা হরিনারায়ণও চিকিৎসাশাস্ত্রে পারদর্শী ছিলেন, অধিকন্তু তিনি বৈষয়িক কাৰ্য্যে অতি নিপুণ ছিলেন । তাহার শেষোক্ত গুণে আকৃষ্ট হইয়া তদানীন্তন নবাব-আখ্যাধারী কোনও মুসলমান জমিদার তাহাকে আহবান করিয়া সাদরে দেওয়ানী প্ৰদান করেন। দেওয়ান হরিনারায়ণ স্বীয় প্রভুর পরিবারস্থ কোনও বিধবা রমণী নাড়ী পরীক্ষা করিয়া তাহার গৃঢ়োৎপন্ন গর্ভ নির্ণয় করেন এবং এই সংবাদ অচিরে প্ৰকাশিত হইয়া পড়ে। ৬/হরিনারায়ণই এই সংবাদ প্ৰকাশ করিয়াছেন। এই সন্দেহে নবাব উপযুক্ত শ্ৰদ্ধাভাজন দেওয়ানের প্রতি সেই সময়ে প্ৰচলিত নানাবিধ কঠোর ও নিষ্ঠুর দণ্ডের বিধান না করিয়া কেবল র্তাহাকে দেওয়ান-পদ হইতে চু্যত করেন। পিতার পদচ্যুতির সময়ে নীলাম্বরের পাঠ্যাবস্থা। তখন তিনি গৈলাগ্রামে অধ্যয়ন করেন । অধ্যয়ন-সমাপ্তির পর চিকিৎসাকাৰ্য্যে ব্ৰতী হইবার সঙ্গে সঙ্গেই নীলাস্বরের ভাগ্য উজ্জল হইয়া উঠে। নীলাম্বর যখন বৃদ্ধ তখনও তাহার মাতৃদেবী জীবিত ছিলেন । বৃদ্ধকালে গঙ্গাতীরে বাস করিবার উদ্দেশ্যে ও যাহাতে মাতৃদেবীর গঙ্গাপ্রাপ্তি ঘটে-এই কামনায় শেষ বয়সে নীলাম্বর ঢাকানগরী ত্যাগ করিয়া কলিকাতায় আগমনপূর্বক কুমারটুলিতে বাস করিতে থাকেন ও অল্পদিন মধ্যে কলিকাতায়ও সুচিকিৎসক বলিয়া প্ৰসিদ্ধি ও প্ৰতিপত্তি লাভ করেন। এই সময়ে দুৰ্গাপ্ৰসাদ সেন স্বগ্রামে থাকিয়া অধ্যয়নাদি করিতেছিলেন। দুৰ্গাপ্ৰসাদের জন্মের একাদশ দিবসে তাহার গর্ভধারিণীর পরলোক-গমন হয়। তখন র্তাহার জ্যেষ্ঠ ভগিনী সোনারঙ্গ