পাতা:বংশ-পরিচয় (দ্বাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শুড়িপুষ্করিণীর সাহানা-বংশ বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর মহকুমায় ইন্দাস থানার অন্তৰ্গত শুড়ি পুষ্করিণী গ্ৰাম প্ৰায় দুই শত বৎসরকাল সাহানাগণের এক শাখার বাসভূমি। সাহানাগণ জাতিতে জানীে বা জানা উগ্রীক্ষত্ৰিয়। জানীে শব্দের অর্থ উপবীত । উগ্ৰক্ষত্ৰিয়গণের এই শাখা উপবীতী এবং ক্ষত্ৰিয়াচারী। ত্ৰাতৃবৰ্ম্মা ও দেবী উল্লেখে ইহাদের দৈব ও পৈত্ৰ কাৰ্য্য সম্পন্ন হয় এবং ইহারা দ্বাদশাহ অশৌচ ধারণ করেন। শ্ৰীরামচন্দ্র ও লক্ষ্মণের বিবাহের প্রাক্কালে উপনীত হওয়ার কিম্বদন্তী-অবলম্বনে আৰ্য্যাবৰ্ত্ত ও দক্ষিণাত্যের অনেক ক্ষত্ৰিয় শাখাই বিবাহের সময়ে উপনয়নের ব্যয়সংক্ষেপকার প্রথার অনুসরণ করিয়া থাকেন। জানীে উগ্ৰীক্ষত্ৰিয়গণেরও উপনয়ন-সংক্রান্ত বৈদিক ক্রিয়াদি বিবাহের আভু্যদয়িকাদির সহিত অনুষ্ঠিত হয় । التي উগ্ৰক্ষত্ৰিয়গণ মানসিংহের দ্বারা মোগালগণের সৈনিক রূপে পাঠানগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিবার উদ্দেশ্যে বাঙ্গালাদেশে আনীত ও গৌড় হইতে উড়িষ্যা পৰ্য্যন্ত বাদসাহী রাস্তার উভয় পাশ্বে স্থাপিত হন । আজও ঐ জাতি বদ্ধমান, বাঁকুড়া ও হুগলী জেলার কতকাংশে মাত্র নিবেশিত । আগরা প্ৰদেশ হইতে আগত বলিয়া উগ্ৰীক্ষত্ৰিয়গণ বাঙ্গালী, পাঞ্জাবী, মাদ্রাজী, মাড়োয়ারী প্ৰভৃতির ন্যায় আগরী ( উচ্চারণ-দোষে আগুরী ) আখ্যা লাভ করিয়াছেন । দীর্ঘ তিন শত বৎসরের অধিককাল বাঙ্গালার “সোতো মাটি” ও “ভিজা হাওয়া”র মধ্যে থাকিলেও আগরীর যোদ্ধ রক্ত যে একবারে শীতল হয় নাই “আণ্ডৱী গোয়ার” প্ৰবাদই তাহার প্রকৃষ্ট প্ৰমাণ। কৌলিন্যপ্ৰথা প্ৰবৰ্ত্তিত হইবার বহু পরে উগ্ৰীক্ষত্ৰিয়গণ বাঙ্গালা দেশে আগত হওয়ায় এই জাতির মধ্যে কৌলিন্য প্রথার অস্তিত্ব লক্ষিত