পাতা:বংশ-পরিচয় (দ্বাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

br o বংশ-পরিচয় একটি জাতির এই যে একাধিপত্য, কে জানে ইহার মধ্যে অতীত ইতিহাসের কোন সুত্ৰ লুকায়িত রহিয়াছে ! আগরা প্রদেশ হইতে আগত এই উগ্ৰক্ষত্ৰিয় যোদ্ধাগণের মধ্যে উৎসাহ-সাহস-সম্পন্ন বিদ্বাংশগোত্রীয় রাজা পরশুরাম কোঙারের ( কুমারের ) সন্তানগণকে পাঠানগণের আক্ৰমণ-মুখে স্থাপিত করা হয় । বৰ্দ্ধমানের দক্ষিণ, বৰ্দ্ধমান-মেদিনীপুর রাস্তার উপর উচালনের কিঞ্চিৎ উত্তরে মোগলমারি গ্রাম অবস্থিত । কিম্বদন্তী-এই স্থানে মোগল-বাহিনী পাঠানগণের দ্বারা বিধ্বস্ত হইয়াছিল । রাজা পরশুরাম কোঙারের বংশধরগণ ঐ মোগলমারির প্রায় দুই ক্রোশ দক্ষিণে, দ্বারকেশ্বর নদীর কিঞ্চিৎ উত্তরে কেন্দুডগ্ৰামে স্থাপিত হন। এই কেন্দুড়গ্রাম পাঠানগণের অধিকৃত গড়মান্দারণের ৬, ৭ মাইল উত্তরে অবস্থিত । কালক্রমে পাঠানগণ ওড়িষায় পলায়ন করে এবং বঙ্গদেশে মোগলের একাধিপত্য স্থাপিত হওয়ায় যুদ্ধকাৰ্য্যের অবসর কমিয়া যায়। সে সময়ে বদ্ধমান হইতে আগরায় প্ৰত্যাগমন ক্লেশ ও বিস্ত্ৰ-বহুল থাকায় এবং সুজলা সুফলা বঙ্গদেশের যথেষ্ট আকর্ষণ থাকায় অনেকেই বাঙ্গালাদেশে উপনিবিষ্ট হন । রাজা পরশুরাম কোঙারের সন্তানগণও কেন্দুড়েই বাস করেন এবং বাঙ্গালাদেশের প্রথানুসারে নামের শেষে উপাধিৰূপে ‘কোঙার’ শব্দ ব্যবহার করিতে থাকেন । ঐরূপে উপনিবিষ্ট যোদ্ধাগণের মধ্যে অনেকেই জীবিকা অর্জনের জন্য জায়গীররূপে প্ৰাপ্ত ভূমি লইয়া কৃষিবৃত্তিই অবলম্বন করিয়াছিলেন। পরশুরাম কোঙারের সন্তানগণ কৃষি অপেক্ষা বাণিজ্যেই অধিক মনোনিবেশ করিয়াছিলেন । লাদনা বয়েল বা ছালা গরুর পৃষ্ঠে পণ্য বোঝাই করিয়া দূরবত্তী স্থানে লইয়া গিয়া মুদ্রা মূল্যে বা বিনিময় প্রথায় বিক্রয় করাই সে সময়ের স্থলবাণিজ্যের প্রধান অঙ্গ ছিল । কেন্দুড়নিবাসী রাজা পরশুরাম কোঙারের সন্তানগণও ঐ প্রথায় ব্যবসা করিতে