পাতা:বংশ-পরিচয় (দ্বাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

br ংশ-পরিচয় উৎপাত করিতে আরম্ভ করায় মোগল-প্ৰতিনিধি তাহদের ; বিরুদ্ধে অভিযান করিয়াছিলেন । মোগল-প্ৰতিনিধি অৰ্দ্ধখনিত ‘আগুনখাকীর সায়রে’র নিকটবৰ্ত্তী বিস্তৃত মাঠে শিবির সন্নিবিষ্ট করেন এবং কৌতুহলবশে জিজ্ঞাসা করেন, “এখানে এরূপ ধন্যবান ব্যক্তি কে আছে যে, এই দুৰ্ব্বংৎসরে এত বড় পুষ্করিণী খনন করাইতেছে ?” দুল্লভ যখন শুনিলেন যে, নবাব পুষ্করিণীর মালিকের খোজ লাইতেছেন তখন তিনি স্বর্ণমুদ্রার উপহার লইয়া নবাবের শিবিরে উপস্থিত হইলেন। কিন্তু তিনি সে সময়ের পল্লীগ্রামের ভদ্রলোকের বেশে গৈয়াছিলেন বলিয়া নবাব র্তাহাকে পুষ্করিণীর ধনবান মালিকের কোন কৰ্ম্মচারী মনে করিয়া জিজ্ঞাসা করেন, “তোমার মনিব কি এখানে নাই ?” তদুত্তরে দুল্লভ বলেন, “ আমার কেহ মনিব নাই, আমিই নিজ অর্থে ঐ পুষ্করিণী খনন করাইতেছি।” ইহা শুনিয়া নবাব দুল্লাভের বিশেষ সন্মান করেন । শিবিরে দরবারের কায়দা-কানুন রক্ষিত হওয়া সম্ভবপর নহে বলিয়া নবাব দুল্লাভের যে সম্মান করেন তাহা একটু বেশী রূপই হয়। পল্লীবাসী সরলচিত্ত দুর্লভ ঐ সম্মানে এরূপ উৎফুল্ল হন যে, ছাউনির সেদিনের সমস্ত রসদ যোগাইবার ভার তাহার উপর অর্পণ করিবার জন্য নাপাবকে অনুরোধ করেন। ঐ অনুরোধ শ্রবণে নবাব অত্যন্ত আহলাদিত হইয়া দুল্লাভের সম্মুখেই ওমরাহগণের কাছে দুল্লাভের দাতুত্বের বহু প্ৰশংসা করেন এবং দুল্লাভের কোন প্রার্থনা আছে কি না জিজ্ঞাসা করেন। ওমরাহগণ দুল্লভকে কোন বিস্তৃত জায়গীর প্রার্থনা করিতে বলেন । কবিকঙ্কন, ঘনরাম প্ৰভৃতি হইতে জানা যায়, অনেক উগ্ৰীক্ষত্ৰিয় বা আগরীই জায়গীর ভোগ করিতেন। ঘনরাম লিখিয়াছেন, ‘বাইস আগুরী আন্ত, বিজয় জাইগিরী যার গ৷ ” দুল্লভ কিন্তু কোনরূপ জায়গীর প্রার্থনা করেন নাই। নবাবের দ্বারা পুনঃ পুনঃ তাহার প্রার্থনা জানাইতে আদিষ্ট হইয়া বলিয়াছিলেন, “আমার দশ সহস্ৰ গরু আছেঃ