পাতা:বংশ-পরিচয় (দ্বাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

yr 8 বংশ-পরিচয় গালি রূপেই সাধারণতঃ প্ৰযুক্ত হয়। অপুত্ৰক কুড়ারাম “আঁটকুড়া।” আখ্যায় বিশেষ মনোকষ্ট ভোগ করিতেন ! এই অবস্থায় তঁহার একটি পুত্ৰ জন্মে। তালগাছ। যাইলেও তালপুকুরের নাম যায় না ; পুত্রবান হওয়ার পরও তঁহাকে কেহ কেহ ‘আঁটকুড়া’ বলিত। ইহাতে র্তাহার ধৈৰ্য্যের সীমা অতিক্রান্ত হয় এবং তিনি ক্রোধ ও বিরক্তির বশে গ্ৰামত্যাগ করিয়া মল্লভূমাধিপতির আশ্রয় গ্ৰহণ করেন । মল্লরাজ কুড়ারামকে মল্লরাজগণের পূর্বতরফী ঘাট ইন্দাসের নিকটবৰ্ত্তী একটি চারি পাঁচশত বিঘা পরিমাণের বেছ প্লর ক্ষুদ্র মৌজা বা চক নামমাত্র খাজনায় বন্দোবস্ত দেন। কুড়ারাম ঐ স্থানে একটী পুষ্করিণী খনন ও শিবমন্দির নিৰ্ম্মাণ করাইয়া উহাতে বাস করেন। ঐ মৌজা বা চকে অতীতে বিলুপ্ত কোন শুড়িবংশের একটি পুষ্করিণী বিদ্যমান থাকায় লোকে ঐ স্থানকে শুড়ি পুষ্করিণীর চকু বলিত। কুন্ডারামও গ্রামটির শুড়িপুষ্করিণী নাম বজায় কুয়াখিয়া উহাতে বাস করিয়া পতিত স্থানকে শাস্তক্ষেত্রে পরিণত করিয়া জন-মজুরের সাহায্যে চাষ করাইতে থাকেন। কৃষি তাহার প্রধান উপজীব্য থাকিলেও তিনি বংশগত ব্যবসায় ত্যাগ করিতে পারেন নাই ; সামান্য কয়টি “লাদনা বয়েল”-সাহায্যে দূরদেশে ব্যবসায়ও করিতেন । কুড়ারাম যে প্ৰণালীতে জীবনযাত্ৰা নিৰ্বাহ করিতেন সেই প্ৰণালীই ভগীরথ সাহানার সময় পৰ্য্যন্ত অনুস্থত হইয়া আসিয়াছিল। তবে ঐ ংশের হৃদয়বত্তার কথা অতীত নীরবতার মধ্যেও কখনও কখনও শুনা যায়। ধামুড় এবং শুড়িপুষ্করিণী সংলগ্ন গ্ৰাম । শুড়িপুষ্করিণী অতি ক্ষুদ্র গ্ৰাম বলিয়া ঐ দুই মিলিত গ্রামে শুড়িপুষ্করিণী, ধামুড় গ্রামের ংশরূপে গণিত এবং গ্রামবাসিগণের দ্বারা “সানাপাড়া” নামে উক্ত হয়। ঐ ধামুড়গ্রামের কোন স্বভাবকবি শতাধিক বৎসর পূর্বে গ্রামবাসিগণের প্রত্যেকের বৈশিষ্ট্য অবলম্বনে একটা ছাড়া রচনা