পাতা:বংশ-পরিচয় (দ্বাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

어f5- وم٦ চাঙ বাধিয়া নদীতে ভাসাইয়া বারাকপুরে (বৰ্ত্তমান বেলুড় মঠের নিকটবৰ্ত্তী স্থান ) বিক্রয় করাই তাহার ব্যবসায় ছিল। খুচরা কাষ্ঠব্যবসায়ীরা ঐ সকল বৃহৎ কাষ্ঠ খরিদ করিয়া করাত দ্বারা আবশ্যক আকারে পরিণত করিয়া বিক্রয় করিতেন । তর্কনায়ক গোসাইদাসকে সামান্য বেতনে খুচরা ব্যবসায়িগণের নিকট হইতে প্ৰাপ্য টাকা আদায়ের ও হিসাব-রক্ষার কাৰ্য্যে নিযুক্ত করেন। দুই প্ৰস্থ হিসাব রক্ষা করিতে হইত-এক প্রস্থ বাঙ্গালা অক্ষরে, এবং কারবারের মালিক তর্কনায়কের বোধ-সৌকষ্যার্থ অন্য প্ৰস্থ গোরক্ষপুরী হিন্দীতে। গোসাইদাস প্ৰথমে গোরক্ষণপুরী হিন্দী জানিতেন না ; তিনি বাঙ্গালাভাষায় যে হিসাব রক্ষা করিতেন তাহাই একজন গোরক্ষপুরী কৰ্ম্মচারী হিন্দীতে লিখিয়া লাইতেন । ঐ ব্যবস্থায় নানারূপ অসুবিধা হয় দেখিয়া গোসাইদাস অতি অল্প সময়ে গোরক্ষাপুরী হিন্দী শিক্ষা করেন এবং দুই প্ৰস্থ হিসােবই নিজে প্ৰস্তুত করিতে থাকেন । তর্কনায়ক প্ৰথম হইতেই গোসাইদাসকে বিশেষ স্নেহ করিতেন, পরে গোঁসাইদাসের সততায় ও কৰ্ম্মশক্তিতে র্তাহার কারবারের প্রভূত উন্নতি হওয়ায় তিনি গোসাইদাসকে পুত্রের ন্যায় স্নেহ করিতেন এবং কি করিলে তঁাঙ্গার আর্থিক উন্নতি হয় তদ্বিষয়ে চিন্তা করিতেন । একদিন তিনি বলেন, “দেখ গোসাইদাস, আমি তোমাকে বেশী বেতন দিতে পারি না, তোমারও অর্থ আবশ্যক । তোমার উপর যে কাৰ্য্যের ভার দেওয়া আছে তাহা সম্পন্ন করিয়াও তোমার অনেকটা সময় থাকে। তুমি আমার গোলা হইতে কাষ্ঠ লইয়া তাহা ফাড়াইয়া বিক্রয় করিলে কিছু অর্থ উখার্জন করিতে পার । তোমাকে নগদ মূল্যে কাষ্ঠ লইতে হইবে না, তুমি কাষ্ঠ ফাড়াঈয়া বিক্রয় করিয়া সেই টাকায় আমার কাষ্ঠের মূল্য শোধ করিবে, তাহাতে যাহা লভ্য হইবে তাঁহাই ক্ৰমে তোমার মূলধনে পরিণত হইবে।”