পাতা:বংশ-পরিচয় (দ্বাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

୪ଳ e বংশ-পরি 6项 ড়ীতে ২৫/৩০ জন পশ্চিমা দ্বারবান এবং আস্তাবলে ১০|১৫টি তাজী ঘোড়া থাকিত। তঁহার স্থাপিত শিবমন্দির চতুষ্টয়ের নিকটস্থ দরজার উপরের গোল নহবৎখানায় নিত্য নহবৎ বাজিত এবং ফটকের সম্মুখে নিত্য কামান দাগ হইত। তঁহার শেষ বয়সে গৃহবিবাদে সব নষ্ট হইয়া তিনি অভাবগ্ৰস্ত হইয়া পড়েন । অম্বিকা দেবীর মধ্যে মাতৃভাব এরূপ সুপরিস্ফুট ছিল যে, তাহার মৃত্যুতে তিন চারিখানি গ্রামের লোক বলিয়াছিল “আজ কেবল সত্য বাবুর মা মরেন নাই, তিনচারিখানি গ্রামবাসী আমাদের সকলেরই মা মরিয়াছেন।” অম্বিকা দেবী অত্যন্ত দানশীল ছিলেন ; পুরোহিত, কৰ্ম্মচারী, আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসীকে প্ৰায় প্ৰত্যাহাঁই বাগানের ফলমূল, পুষ্করিণীর মাছ প্ৰভৃতি কিছু কিছু বিতরণ করিতেন। দরিদ্র প্রজাদের মধ্যে কাহারও অসুখ হইলে তাহার জন্য সাগু, বালি, মিছারী, বাতাসা, কাগজি লেবু প্ৰভৃতি পাঠাইয়া দিতেন ; কখনও কখনও স্বহস্তে সাগু, বালি প্রভৃতি তৈয়ারী করিয়া দিতেন । কাহারও পীড়ার কথা শুনিলে নিজে যাইয়া সংবাদ লইতেন এবং আবশ্যক হইলে স্বহস্তে পীড়িতের শুশ্রুষা করিতেন। দরিদ্র প্রজাদের কাহারও পীড়া হইলে অন্নপথ্যের দিন প্ৰত্যেকের জন্য পাচপোয় পুরাতন সরু চাউল, কয়েকটি কঁাচকল, এবং কয়টি বাটামাছ পাঠাইয়া দিতেন । দরিদ্রকে তৃপ্তিপূর্বক ভোজন করানই, তাহার জীবনের সর্বাপেক্ষা অধিক আনন্দের বিষয় ছিল বলিয়া মনে হয় । পুজার সময় জলপানের ভাড়ার তঁহার জিন্মায় থাকিত ; তিন চারিদিন তঁাহার প্রায় আহারনিদ্রা থাকিত না। পূজাবাড়ীতে আগত পুরুষ, রমণী, বালক, বালিকা ও শিশুদের আঁচলে মুডি, মুড়কী চিড়ি, খই লাড়ু, নারিকেল লাডু, সিড়ির লাডু, প্রভৃতি ডালায় বা পিতলের সরায় লইয়া সমস্ত দিন নিরলসভাবে ঢালিয়া দিতেন। প্ৰাণকৃষ্ণের গৃহে বৎসরে কয়েকবারই ব্ৰাহ্মণ, জ্ঞাতি