পাতা:বংশ-পরিচয় (দ্বাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শুড়িপুষ্করিণীর সাহানা-বংশ ও গ্রামবাসীদের ভোজন করান হইত। ব্ৰাহ্মণভোজনের দিন তিনি স্বয়ং আহাৰ্য্য প্ৰস্তুতের কাৰ্য্য পরিদর্শন করতেন । জ্ঞাতি ও গ্রামবাসীদের ভোজনে সাধারণতঃ অন্নকাণ্ডই হইত। ঐ দিনে তঁাহার। পৰ্য্যবেক্ষণেই সমস্ত কাৰ্য্য হইত এবং দুই একখানা মাছের তরকারী ও পায়স তিনি স্বহস্তে পাক কারতেন । তিনি পরিবেশনেও যোগ দিতেন, পায়স এবং মিষ্টান্ন প্ৰায়শঃ নিজেই পরিবেশন করিতেন এবং সকলকে ‘আরও লও” “আরও খাও * বলিয়া তৃপ্তিপূর্বক ভোজন করাইতেন । প্ৰাণকৃষ্ণ অনেকটুকু খাস জমি চাষের জন্য পৃথক চাষাবাড়ীর ব্যবস্থা রাখিয়াছিলেন । ধান্যরোপণের ও ধান্য ছেদনের সময় প্রজাদের একদিন করিয়া বেগার দিবার প্রথা আছে । বেগারগণের আহারের জন্য অম্বিক দেবী প্রচুর মৎস্য পায়স প্রভৃতি সংগ্ৰহ করাইতেন। সে সময়ে সবে মাত্ৰ কলেজ-ছাড়া তাহার একমাত্র পুত্ৰ সত্যকিঙ্কর একবার এই সম্বন্ধে জননীর উচ্চ হৃদয়ের পরিচয় পাইয়া মুগ্ধ হইয়াছিলেন । শীতকালে ধানকাটার সময় সে বৎসর। প্ৰাণকৃষ্ণ গিরিডির কাৰ্য্য পরিদর্শনে গিয়াছিলেন । পরদিন ২৫/৩০ জন বেগার আসিবে জানিয়া অম্বিকা দেবী নায়েবকে বলিয়া পাঠাইলেন, “দশ বার সের মৎস্য এবং চারিপাঁচ সেরা খেজুর গুড় যেন কল্য প্ৰাতেই সংগ্ৰহ করিয়া দেওয়া হয়।” সে সময়ে কৈবৰ্ত্তগণ ভেলার জন্য শোল সংগ্ৰহ করিতে মেমারী অঞ্চলে গিয়াছিল, দুই একজন বালক মাত্র ঘরে ছিল ; ছোট পুকুর হইতে কোন রূপে ছোট মাছ ধরা ভিন্ন ভেলায় চড়িয়া বড় পুকুর হইতে বেশী পরিমাণ মৎস্য ধরিবার সাধ্য তাহাদের না থাকার কথা জানান হইলে অম্বিকা দেবী টানা জাল দ্বারা মাছ ধরাইতে বলেন। সত্যকিঙ্কর জননীর ঐ কথা শুনিয়া বলেন, “মা শীতকালে পুকুরে টানা জাল নামান বড় কষ্টকর। এছাট মাছ যখন কিছু পাওয়া যাবে তখন বড় মাছ নাই ব? হলো ? বেগাররা নেমস্তম্নে নয় যে, মাছের ঝোল পায়স না হলে তাদের খাওয়ান হবে না ? তুমি মা