পাতা:বংশ-পরিচয় (দ্বাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 tra-Pfab, গিরীশচন্দ্ৰ মণ্ডল, পাঁচম্বাস্কুলে পড়িবার সময়ে হাজারিবাগের সুপ্ৰসিদ্ধ উকিল রায় বাহাদুর কালীপদ সরকার, রাচির বহুসন্মানিত উকিল কালীপদ ঘোষ এবং হেয়ার স্কুলের বিচক্ষণ শিক্ষক গোন্দলপাড়া-নিবাসী অবসর প্রাপ্ত দেবচরিত্র শ্ৰীযুক্ত নারায়ণচন্দ্ৰ মুখোপাধ্যায় এবং যৌবনে কৰ্ম্মলিপ্ত থাকা অবস্থায় গিরিডির অন্যতম প্ৰধান উকিল পবিত্ৰোদারচরিত্র শ্ৰীযুক্ত ধরণীধর বন্দ্যোপাধ্যায় প্রভৃতি মহোদয়গণের সহিত তাহার ষে বন্ধুত্ব জন্মে তাহা চিরদিন এরূপ অনাবিল ও অক্ষুন্ন ছিল যে, উক্ত মহোদয়গণের পরিবারের সহিত রাজকৃষ্ণ ও প্ৰাণকৃষ্ণের পরিবারের প্রীতিকর আত্মীয়তার বন্ধন আজও অটুট রহিয়াছে। সে সময়ে রাচি বা হাজারিবাগ যাইতে হইলে গিরিডি হইতে মানুষে টানা পুশ-পুশ। গাড়ীতে যাইতে হইত। রাজকৃষ্ণের পবিত্ৰচরিত্ৰতায় ও সরালোদার ব্যবহারে রাচি ও হাজারিবাগ-প্রবাসী অনেক বাঙ্গালীই সপরিবারে তাহার বাসায় উঠতেন, তিনিও বিশেষ যত্ন ও সমাদরের সহিত তঁহাদের অভ্যর্থনা করিতেন। এই সকল কারণে রাজকৃষ্ণ ছোটনাগপুরপ্ৰবাসী বাঙ্গালীগণের মধ্যে উচ্চ সম্মানের আসন লাভ করিয়াছিলেন । প্ৰাণকৃষ্ণ ও রাজকৃষ্ণের সৌভ্রাতৃত্ব অনুকরণের বিষয় ; তঁহাদের আত্মীয়-স্বজনেরা উহ। রামলক্ষ্মণের সৌভ্রাতৃত্বের সহিত তুলনা করিতেন। জীবনে দুই ভাইয়ে মনান্তর দূরের কথা, কখনও মতান্তরও হয় নাই। তঁহাদের মৃত্যুতেও ঐ ভাব পূর্ণরূপেই রক্ষিত হইয়াছিল। প্ৰাণকৃষ্ণ কয় বৎসর পূর্ব হইতেই মাঝে মাঝে ম্যালেরিয়া-জারাক্রান্ত হইতেন ; ১৩১৪ সালের আষাঢ় মাসে। তঁহার সাধবী পত্নী অম্বিকা দেবীর মৃত্যু হওয়ায় তিনি দেহ-মনে ভাঙ্গিয়া পড়েন এবং ম্যালেরিয়া-জারে বিশেষরূপেই আক্রান্ত হন । দাদার চিকিৎসার ব্যবস্থার জন্য পুজার সময়ে দেশে আসিয়া রাজকৃষ্ণও ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হন। দেশের ডাক্তার ও কবিরাজগণের চিকিৎসায় বিশেষ ফল হইতেছে না দেখিয়া দুই ভ্ৰাতা