পাতা:বংশ-পরিচয় (দ্বাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sy N. বংশ-পরিচয় লক্ষ্মী গেলে আন্তর্জলে তুমি দাড়াইবে কূলে, প্ৰাণ যাবে ‘জয় কালী” ব’লে হেরে নয়নে ৷ উপরোক্ত সঙ্গীত-পাঠেই পাঠকগণ বুঝিতে পারিতেছেন যে, লক্ষ্মীনারায়ণ করূপ ভগবদ্যুক্ত ছিলেন । লক্ষ্মীনারায়ণের মৃত্যু ঘটিলে বহু সংবাদপত্রে তাহার গুণাবলীসম্বলিত শোক-সংবাদ প্ৰকাশিত হয় । পল্লীবাসী মহাকবি গিরিশচন্দ্ৰ ঘোষ লক্ষ্মীনারায়ণের অন্যতম বিশিষ্ট বন্ধু ছিলেন । মহাকবি গিরিশচন্দ্ৰ ‘উদ্বোধন নামক রামকৃষ্ণ মিশনের মুখ-পত্রে লক্ষ্মীনারায়ণের মৃত্যুর পর তাহার প্রতিকৃতির নিম্নে উপরোক্ত গী ৩টা উদ্ধত করিয়া লিখিয়াছিলেন - ‘উপরোক্ত গানটী শয্যাগত অবস্থায় আমার একজন বন্ধু রচনা করেন । রচনার কয়েকদিন পরে ( ২রা জ্যৈষ্ঠ ১৩১২ সাল ) জাহ্নবীতীরে জনৈক ( আত্মীয় )৷ গায়কের মুখে গানটী শুনিতে শুনিতে ইহলোক ত্যাগ করেন । ইনি একজন সংসারী, সকল কাৰ্য্যেই তাহার সুবন্দোবস্ত ছিল, কিন্তু ঐ রূপ বন্দোবস্ত করিয়া জীবন-বিসাহুজন দেওয়া একমাত্র ইষ্টদেবের মহিমা । এরূপ মৃত্যু-ঘটনা শুনিলে মৃত্যুর ভয় দূর হয় । সেই নিমিত্তই ঘটনাটা লিপিবদ্ধ করিলাম ; আমার স্বৰ্গগত বন্ধু সংসারে বিশেষ খ্যাতনাম ছিলেন না । কিন্তু এ পরীক্ষা-স্তলে তিনি গুরুকৃপায় উত্তীর্ণ হইয়াছেন।” ( উদ্বোধন ) শ্ৰীযুক্ত হরিপদ দত্ত ইনি লক্ষ্মীনারায়ণ দত্ত মহাশয়ের জ্যেষ্ঠ পুত্র। এমন অমায়িক সরলচিত্ত সদালাপী সুজন ব্যক্তি আজিকালিকার যুগে বিরল। ইহার ধৰ্ম্মনিষ্ঠা অপূৰ্ব্ব ৷ প্ৰত্যহ ত্ৰি সন্ধ্যা করা তাহার অবশ্যকৰ্ত্তব্য। সৰ্ব্বাঙ্গসুন্দরভাবে নিজ গৃহে পূজাৰ্চনা-পরিচালন তঁহার ব্যবস্থা। এরূপ নিষ্ঠা দেখা যায় না। তাহার সহিত যে কেহ একবারমাত্র পরিচিত হইয়াছেন তিনিই তঁহার