পাতা:বংশ-পরিচয় (দ্বাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পলাশীর (বৰ্ত্তমানে )। চুচুড়ার পালবংশ চুচুড়ার পালবংশ সুপ্রাচীন বংশ । বৰ্ত্তমানে ইহার কয়েকটি শাখা চুচুড়ায় এবং কোন কোন শাখা কলিকাতায়ও বাস করিতেছেন । ভারতে ব্রিটিশ আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হইবার পূর্বে বদ্ধমান জেলার সাহাবাদ পরগণার অন্তৰ্গত পলাশী গ্রামে এই বংশের আদি বাসস্থান ছিল। এই পলাশী গ্ৰাম বদ্ধমান সহরের প্রায় ৬/৭ মাইল উত্তর-পূর্বে অবস্থিত । এই বংশের একটি শাখা এখনও পলাশীগ্রামে বাস করিতেছেন । বৰ্ত্তমানে উক্ত পলাশীগ্রাম সোণী পলাশী ও কুড়মণ পলাশী এই দুই নামেও পরিচিত । গ্রামখানি পূর্বে অতি সমৃদ্ধিশালী ছিল । সুপ্ৰসিদ্ধ রেভারেণ্ড লালবিহারী দের জন্মভূমিও এই গ্রামে। তাহার রচিত “গোবিন্দ সামন্ত” নামক পুস্তকে পলাশীগ্রামবাসী “সুবর্ণবণিক” বলিয়া র্যাহাদের নামোল্লেখ করা হইয়াছে তাহারা পলাশীগ্রামবাসী এই পালবংশীয় লোক । ইহারা জাতিতে বৈশ্য, সাবর্ণ গোত্ৰ । এক সময়ে পালবংশীয়েরা বিশেষ বদ্ধিষ্ণু ও প্রতিপত্তিশালী ছিলেন। সুবৃহৎ “বড়বাগান”, বিরাট ভদ্রাসন, দীঘি, পুষ্করিণী, দেবালয় এবং অন্যান্য ভূসম্পত্তি প্ৰভৃতি এখনও তাতাদের পূর্বগৌরব স্মরণ করাইয়া দিতেছে। নবাব আলিবর্দী খাঁর শাসনের শেষভাগে মহারাষ্ট্রীয় বর্গারা ভাস্কর পণ্ডিতের নেতৃত্বে বঙ্গদেশে আসিয়া চতুদিকে লুণ্ঠন ও অত্যাচার করিতে থাকে । তাহাদের ভীষণ অত্যাচারে পশ্চিম-বঙ্গবাসী বহু লোক অত্যন্ত ভীত হইয়া ইতস্তত: পলায়ন করিতে বাধ্য হন । তখন পালবংশীয়দের কেহ কেহ চুচুড়ায় আসিয়া আশ্ৰয় লন। সে সময়ে