পাতা:বংশ-পরিচয় (দ্বাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S 38 বংশ-পরিচয় ভালবাসিতেন। ভাল ভাল সুগন্ধি ফুলের গাছে তঁহার উদ্যানটী সৰ্ব্বদা সুশোভিত থাকিত। তঁহার বাটী হইতে প্ৰায় দুই মাইল দূরে হুগলী ষ্টেসনের নিকটে একশত বিঘা জমি লইয়া তিনি একটিী পুষ্পোপ্তান তৈয়ার করেন । উদ্যানটীকে সুরক্ষিত করিবার জন্য তিনি ইহার চতুর্দিকে ইষ্টকনিৰ্ম্মিত প্রাচীর তৈয়ার করাইয়া দেন । নানাস্থান হইতে বহুপ্রকার ফলের গাছ ও বীজ আনিয়া তিনি এই বাগানে রোপণ ও বপন করেন । আম-বৃক্ষের ও পুষ্প বৃক্ষের কলম প্ৰথা তিনিই বঙ্গদেশে সৰ্ব্বপ্রথমে প্ৰবৰ্ত্তন করেন । এই বাগানে এখনও এত কলামের অ্যাম উৎপন্ন হইতেছে যে, তা স্থা অন্যত্র কদাচিৎ দেখা যায় । বস্তুতঃ তাহাকে কলমের আমের সৃষ্টিকৰ্ত্তা বলিলেও অত্যুক্তি হয় না। এখনও “জীবন পালের বাগানে”র নাম বঙ্গদেশের বহুস্থানে পরিচিত। তাহার বাগানে উৎপন্ন আমি কলিকাতার বাজারে অতি উচ্চ মূল্যে বিক্রয় হয়। হিংসা- বদ্বেষ কাহাকে বলে তাহা তিনি মোটেই জানিতেন না । কোন প্ৰতিবেশী উদ্যান অথবা বাগান করিতে অভিলাষী হইলে তিনি স্বয়ং তত্ত্বাবধান করিয়া ও নিজ বাগানের কলম দেয়। প্ৰতিবেশীর বাগানটীকে সাজা ৩য় দিতেন। এমন কি সুদূর পল্লীগ্রাম অথবা বিদেশ হইতে কেহ বাগান করিবার অভিলাষ জানা গলে তিনি নিজ ব্যয়ে তা পায় আমের কলম পাঠ্য ইয়া দিতেন । জীবনকৃষ্ণ পালও নিঃসন্তান ছিলেন । পালিব শের দৌহিত্ৰ ৬/লালবিহারী দত্ত রামমোহন পালমহাশয়ের দৌহি ত্ৰগণ জীবনকৃষ্ণের সমস্ত সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হন । র্তাহার জ্যেষ্ঠ দৌহিত্র লালবিহারী দত্ত মহাশয় সমাজে বিশেষ প্ৰতিষ্ঠালাভ করিয়াছিলেন। তিনি মাতুলের নিকট হইতে মূলধন লইয়া রেশমের কুঠি স্থাপন করিয়া ব্যবসায়