পাতা:বংশ-পরিচয় (দ্বাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

টুচুড়ার পালবংশ Y R€t করিতে আরম্ভ করেন । ক্ৰমে ক্রমে তাহার ব্যবসায়ে বিশেষ উন্নতি হয় এবং ঘাটাল, মনোহরপুর ও জঙ্গীপুরে ; হার যে তিনটি রেশমের কুঠি ছিল তাহা চালাইয়া তিনি প্ৰভূত অর্থ উপাৰ্জন করেন। কলিকাতার বড়বাজারেও তিনি আর একটি কুঠি স্থাপন করিয়া ছলেন। তিনি তাহার মাতুলের সম্পত্তি ও বাগানটি বিশেষ সূত্রের সহিত রক্ষা করিয়াছিলেন এবং বাগানটির শ্ৰীবৃদ্ধি সাধন করিয়াছিলেন । লালবিহারী বাবু দানে মুক্তিহস্ত ছিলেন, কিন্তু দানের কথা সাধারণ্যে প্ৰকাশ করিতেন না । প্ৰাৰ্থী কখনও তাহার বাটী হইতে বিফলমনোরথ হইয়া ফিরিত না । তিনিও নিঃসন্তান ছিলেন । সুতরাং তিনি তাহার সম্পত্তির কিয়দংশ নিজ ভ্রাতুষ্পপুত্রকে দিয়া যান এবং অবশিষ্টাংশ দ্বারা চুচুড়ায় একটি সদাব্রত প্ৰতিষ্ঠা করেন। সেই সাদা ব্লতের ফলে বহু দীন দুঃখী প্ৰতিপালিত ঠাইতেছে । ৬/রাজিকিশোর পাল পূপেরই উল্লেখ করা হইয়াছে যে, ৬/রামমোহন পাল মহাশয়ের চুচূড়ান্থ বাটীর চতুষ্পার্থে তাহার বহু আত্মীয়স্বজন বাস করিতেন । রাজিকিশোর পাল মহাশয় রামমোহন পাল মহাশদের পিতৃব্যপুত্ৰ ছিলেন । তিনি অন্যান্য জ্ঞাতিবর্গের সহিত একত্ৰ এক বা ‘টাতে বাস করিতেন এবং তাহার পিতা আনন্দমোহন পাল জাতীয় ব্যবসায় করিতেন। রাজিকিশোর বাবু বাঙ্গালা, সংস্কৃত ও ইংরাজীতে অভিজ্ঞ ছিলেন এবং পাসী ভাষাও কিছু কিছু জানিতেন । তিনি একাই অদ্ধ সম্পত্তির মালিক হওয়ায় অন্যান্য জ্ঞাতিবর্গের ঈর্ষ্যার পাত্র হইয়াছিলেন। এই জ্ঞাতি-বিরোধে অত্যন্ত বিরক্ত হইয়া তিনি একদিন এক খানি গামছা মাত্র লইয়া চূচূড়া কামারপাড়া বাজারে ভালক পদ্মলোচন মণ্ডল মহাশয়ের বাটীতে উপস্থিত হইলেন। পদ্মলোচন তৎকালে বালেশ্বরের কালেক্টরীতে