পাতা:বংশ-পরিচয় (দ্বাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চুচুড়ার পালবংশ RN) তিনি কিছু কিছু উপাৰ্জন করিতেন। দ্বারিকানাথ এই সময়ে বাধ্য হইয়া একান্নবৰ্ত্তী পরিবার হইতে পৃথক হন এবং গিরিশবাবুর যাহা কিছু সঞ্চত অর্থ ছিল তৎসমস্তই গৃহনিৰ্ম্মাণাদি কাৰ্য্যে ব্যয় করিয়া ফেলেন । অধিকন্তু তিনি এই জন্য ঋণগ্ৰস্ত হইয়। পড়েন । এ অবস্থাতেও তিনি ভ্ৰাতৃগণের ব্যয়ভার বহন করিতেন । দ্বারিকানাথের মত এই ছিল যে, কনিষ্ঠ ভ্রাতৃগণকে লালনপালন ও সাহায্য করা জ্যেষ্ঠ ভ্রাতার কৰ্ত্তব্য ; তিনি কৰ্ত্তব্য কাৰ্য্যই করিতেছেন - তাহার পরিবারবর্গের ভাগ্যে যাহা থাকে তাহাই হইবে । কিন্তু দুৰ্ভাগ্য একাকী আসে না । একদিন দ্বারিকাবাবু হঠাৎ ট্রামগাড়ী হইতে পড়িয়া ঘান ; তাহার পা এরূপ জখম হইয়া যায় যে, তিনি আর চাকুরী করিতে পারিলেন না । সামান্য ক্ষতিপূরণ লইয়া তিনি বাটীতে অবস্থান করিতে লাগিলেন । ইহার অল্পদিন পরেই তাহার স্ত্রীবিয়োগ হয় । তাহার জ্যেষ্ঠ কন্যা বিধবা হইয়াছিলেন ; সেই কন্যার কোন সন্তানাদি না থাকায় তিনি পিতৃগৃহে থাকিয়া পিতার সেবা করিতে লাগিলেন । ইতিমধ্যে এক অভাবনীয় ঘটনা ঘটায় দ্বারিকানাথ ঋণমুক্ত হইয় পড়েন । সেই ঘটনাটি এই যে, গিরিশচন্দ্র যখন ওকালতী করিতেন তখন তাহদের এক প্ৰতিবেশী এক খাতকের নিকট হইতে ২০ ই জার টাকা আদায় করিবার জন্য তঁহাকে উকীল নিযুক্ত করেন। গিরিশবাবু প্ৰায় দুই মাসকাল। লক্ষেী সহরে অবস্থান করিয়া উক্ত টাকা আদায় করেন । ফলে মহাজন তাহাকে যে পরিমাণ টাকা পারিশ্রমিক স্বরূপ প্ৰদান করেন, তাহাতেই তেঁাহার পিতার ঋণ-পরিশোধ হয় । দ্বারিকানাথ বাবু এইভাবেই ঋণমুক্ত হইয়া শেষ জীবনে অনেকটা শান্তিলাভ করিয়াছিলেন । অতঃপর ১৮৯৬ খৃষ্টাব্দে গিরিশবাবু কটকে গিয়া উড়িয়া ভাষা শিক্ষা করিয়া তথায় ওকালতী আরম্ভ করেন। উত্তরোত্তর ওকালতী ଅନ୍ଧ