পাতা:বংশ-পরিচয় (দ্বাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রায় শ্ৰীযুক্ত নগেন্দ্ৰনাথ গঙ্গোপাধ্যায় বাহাদুর S G পড়েন। এই অবস্থায় কলিকাতায় ডাক্তারী শিক্ষার ব্যয় সম্বুলন করা রামলালের পক্ষে অসম্ভব হইল। অধিকন্তু পীড়িত মাতুলের শুশ্রুষার জন্য র্তাহার বাড়ী থাকা নিতান্ত আবশ্যক। মধ্যম মাতুল অবিবাহিত ছিলেন । বৃদ্ধ ভগিনী ব্ৰহ্মময়ী দ্বারা সুশৃঙ্খলে তঁহার সেবা হওয়া সম্ভব নহে। অগত্য রামলালকে বা উী ফিরিতে হইল। তিনি মাতুল ও মােসীমাতার কষ্ট দেখিয়া দুঃখে অভিভূত হইয়া পড়িলেন এবং মনে মনে স্থির করিলেন, তাহার ভবিষ্যৎ যতই তিমিরাচ্ছন্ন হউক, তিনি মাতুলকে ত্যাগ করিয়া আর কোথা ও যাইবেন না। প্ৰাণহারি এই প্রকার শয্যাশায়ী অব%ায় প্ৰায় ২০ বৎসর জীবিত ছিলেন এবং এই দীর্ঘকাল রামলাল একদিনের জন্যও তাহার সেবার ক্ৰেটী করেন নাই । শয্যা হইতে উঠিবার বা হস্তাদ অঙ্গ চালনা করার শক্তি প্ৰাণহারির ছিল না ; তথা,প ভাগিনেয়ের যত্নে তিনি কোন অভাব অনুভব করেন নাই । লোকে আশ্চৰ্য্য হইত, দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, বৎসরের পাব বৎসর যাইতেছে, এরূপ ঘােডর কঁাটার ন্যায় নিয়মিতভাবে শুশ্রুষা, অপরিণত বয়স্ক সুবকের দ্বারা কি প্রকারে সম্ভব হইত ! মাতুলগণ নিকটবৰ্ত্তী উলাগ্রামে অল্পবয়সে রামলালের বিবাহ দিয়াছিলেন । দুঃখের বিষয়, বিবাহের অল্পদিনের মধ্যেই তাহার স্ত্রীবিয়োগ হয় । এই ঘটনার কয়েক মাস পরে রাণাঘাটের সংলগ্ন হিজুলী গ্রামে প্ৰাতঃস্মরণীয়। মহারাণী স্বর্ণময়ীর অন্যতম বিশ্বস্ত কৰ্ম্মচারী প্ৰাণহারি মুখোপাধ্যায়ের তৎকালীন একমাত্ৰ কন্য। এবং নদীয়া জেলার স্বনামখ্যাত পণ্ডিত ও রাণাঘাট টোলের প্রধান অধ্যাপক স্বৰ্গীয় সর্বেশ্বয় ন্যায়ালঙ্কারের দৌহিত্রী শ্ৰীমতী শশামুখী দেবীর সহিত রামলালের দ্বিতীয় পক্ষে বিবাহ হয় । শশামুখী যেমন উচ্চবংশে জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন তাহার মনও সেইরূপ উদার ছিল । তিনি স্বামিংগৃহে আসিয়া দেখিলেন তাহার স্বামী সৰ্ব্বক্ষণই পীড়িত মাতুলের সেবায় ব্যস্ত থাকেন; অন্য