পাতা:বংশ-পরিচয় (দ্বাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ংশ-পরিচয় م؟ (ع কোন কাৰ্য্যের জন্য তঁহার বিন্দুমাত্র অবসর নাই। এমন কি, নিয়মিত সময়ে আহার বা বিশ্রামের অবকাশ হয় না । সেইজন্য তিনি প্ৰথম প্ৰথম স্বামীর সাহায্যে নিযুক্ত হইলেন। কিন্তু আকাজক্ষানুযায়ী সাহায্য করা তাহার পক্ষে সম্ভব হইল না । কারণ মামাশ্বশুরের গৃহে প্ৰবেশ করা, এমন কি তঁাহার အတ္[fီးလျှာ দ্রব্যে হাত দেওয়াও তখনকার সমাজপ্রথার বিরোধী । অগত্যা সামাজিক প্রথার কোন প্ৰকার অবমাননা না করিয়া মাতুলের সেবা-কাৰ্য্যে যতটুকু সাহায্য করা সম্ভব হাইত তিনি তাহাই করিতেন । মামাশ্বশুরদিগের বৃহৎ সংসার ; অতিথিঅভ্যাগত প্ৰতিদিনই আছে । এই সংসারের রন্ধনকাৰ্য্যের ভার শশীমুখী গ্ৰহণ করিলেন। অন্যান্য গৃহস্থালী কাৰ্য্যও তাঁহাকে করিতে হইত। তিনি থাকিতে স্বামীর মামী বা মাসী সংসারের কাৰ্য্য করিবেন। ঈহা নববধূর চক্ষে বিসদৃশ বলিয়া মনে হইত। সকলের নিষেধ সত্ত্বেও তিনি অতি প্ৰত্যুষে গৃহস্থালী কাৰ্য্য সমাপন করিয়া রন্ধনশালায় প্রবেশ করিতেন । এদিকে রামলাল তাহার ভবিষ্যৎ বিবাহিত জীবন কি উপায়ে চলিবে -সেই বিষয় মনে মনে চিন্তা করিতে লাগিলেন । অবিবাহিত পীড়িত মাতুল তঁহাকে বাড়ীর অংশটুকু দিতে পারেন। অপর দুই মাতুল বিবাহিত এবং তাহারা ঐ বাড়ীতে আপনাদের আবশ্যকমত গৃহাদি নিৰ্ম্মাণ করিয়াছেন । প্ৰাণহরি স্বীয় কৃত বৈঠকখানা গৃহের এক অংশে বাস করিতেন ; তাহার অপর গৃহাদি নিৰ্ম্মাণের কোন প্ৰয়োজন ছিল না। একটা গৃহের অংশমাত্ৰ লইয়া কি প্রকারে চলিবে এবং পরিবার ভরণ-পোষণ কি উপায়ে হইবে-এই সকল চিন্তা যুবক রামলালকে অস্থির করিয়া তুলিল। অপর দিকে মাতুলকে ত্যাগ করিয়া অর্থে পাৰ্জনের জন্য স্থানান্তরে যাওয়া তাহার পক্ষে সম্ভব নহে। এই ভাবে অনেক চিন্তার পর স্থির করিলেন যে, ডাক্তারীতে র্তাহার যে