পাতা:বংশ-পরিচয় (দ্বাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রায় শ্ৰীযুক্ত নগেন্দ্ৰনাথ গঙ্গোপাধ্যায় বাহাদুর S \) শিক্ষা হইয়াছে এবং এতদিন বাউীতে চেষ্টা করিয়া তিনি যে অভিজ্ঞতা লাভ করিয়াছেন তাহাতে পীড়িত মাতুলের শুশ্রুষার ক্রেট না করিয়াও তিনি রাণাঘাটেই পরিবার প্রতিপালনোপযোগী অর্থার্জন করিতে পরিবেন। মাতুল্যদিগের অনুমতি লইয়া তিনি অবিলম্বে প্ৰথম পক্ষের ঈী-পরিত্যক্ত অলঙ্কারাদি বিক্ৰয় করিয়া বাড়ীতে একটী ডাক্তারখানা স্থাপন করতঃ চিকিৎসা ব্যবসা আরম্ভ করিলেন । তাহার ডাক্তারখানাই রাণাঘাটের প্রথম এলোপ্যাথিক ডিসপেনসারি। তঁহার ধীর প্রকৃতি, রোগ-নির্ণয়ের অদ্ভূত ক্ষমতা ও ঔষধ-নির্বাচনের অপূর্ব পারদর্শিতার জন্য অল্প দিনের মধ্যেই যথেষ্ট পাসার হইল। পাছে মাতুলের কোন অসুবিধা হয় বা তাহার সেবার ক্ৰটী হয়-এই আশঙ্কায় তিনি অনেক সময় বেশী রোগীর চিকিৎস-ভার গ্ৰহণ করিতে পারিতেন না এবং এই কারণে মফঃস্বলের রোগী তিনি প্রায়ই ত্যাগ করিতেন। এই সকল প্ৰতিবন্ধক সত্ত্বেও দিন দিন তাহার পসার ও অর্থেপাৰ্জন বাডিতে লাগিল। ১৮৭৩ খষ্টাব্দে তাহার একটী পুত্রসন্তান হয়। এই পুত্ৰই 'রায় বাহাদুর" উপাধিতে ভূষিত শ্ৰীযুক্ত নগেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়। এই সময় রামলাল মধ্যম মাতুল-প্রদত্ত জমিতে স্বীয় পরিবারের বাসোপযোগী একটী অট্টালিকা নিৰ্ম্মাণ করেন । কিছু দিন পরে মধ্যম মাতুল প্ৰাণহরি বন্দ্যোপাধ্যায় ইহলোক ত্যাগ করেন। তঁহার পারলৌকিক ক্রিয়ার জন্য বৃষোৎসর্গ শ্ৰাদ্ধ, ব্রাহ্মণ-ভোজন, অধ্যাপক নিমন্ত্রণ, দরিদ্র-সেবা ইত্যাদিতে রামলাল অনেক অর্থ ব্যয় করেন এবং মহাসমারোহে এই শ্ৰাদ্ধক্রিয়া সম্পন্ন হয়। মাতুলের সেবার জন্য তিনি যে সময় নিযুক্ত থাকিতেন এখন হইতে সে সময় তিনি চিকিৎসা-ব্যবসায়ে নিয়োজিত করিলেন এবং ডিসপেনসারির অনেক উন্নতি সাধন করিতে লাগিলেন। তঁহার অসাধারণ অধ্যবসায় হিল। টিংচার প্রভৃতি অনেক ঔষধ তিনি স্বহস্তে প্ৰস্তুত