পাতা:বংশ-পরিচয় (দ্বাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\) বংশ-পরিচয় করিতেন এবং সেজন্য মূল্যবান যন্ত্রাদি আনাইয়াছিলেন । তিনি বলিতেন, তাহার স্বহস্তে প্ৰস্তুত ঔষধ বিলাত হইতে আনীত ঔষধ অপেক্ষা আশুফল প্ৰদ। তিনি অবস্থানুসারে দরিদ্রগণকে বিনামূল্যে চিকিৎসা করিতেন ! নতুবা স্বেচ্ছায় যে যাহা দিত। তাহাতেই সন্তোষ প্ৰকাশ করিতেন । আবশ্যক হইলে পাথ্যাদি পৰ্য্যন্ত নিজে দিতেন । তাহার কৰ্ম্মচারগণ বিনামূল্যে ঔষধাদি বিতরণ করিতে বিরক্তি প্ৰকাশ করিলে তিনি তাহাদিগকে বলিতেন-‘ইহার মূল্য নারায়ণ অপরের হাতে পাঠাইবোন-তোমরা ব্যস্ত হইও না ।” রামলাল নানা প্ৰকার দেশহিতকর কাৰ্য্যে সর্বদাই সহায়তা করিতেন । তিনি রাণাঘাটের মিত্রসভার অন্যতম অনুষ্ঠাতা । এই সভা হইতে স্থানীয় অনেক দুঃস্ত পরিবারকে মাসিক সাহায্য করা হয়, সহায়হীন বালকগণের বিদ্যাশিক্ষার্থে বৃত্তি দেওয়া হয়, অসহায় শুদ্র বিধবা ও অ ক্ষম ব্যক্তিবর্গের জন্য মাসিক বৃত্তি ও চাউল দান করা হয় । তিনি গভর্ণমেণ্ট-মনোনীত মিউনিসিপাল কমিশনার ছিলেন এবং সহরের উন্নতি-সাধনে ও স্বাস্থ্য-রক্ষার্থ সহায়তা করিতেন । তাহার সময়ে প্ৰাতঃস্মরণীয় জমিদার সুরেন্দ্ৰনাথ পালচৌধুরী মহাশয়ের আহবানে বড়লাট লড রিপণ রাণাঘাটে আসেন এবং মিউনিসিপাল কমিশনারগণের সহিত পরিচিত হন । জগদ্ধাত্রী পূজা এবং সাবিত্রী ও অন্যান্য ব্ৰতোপলক্ষে তিনি প্ৰতি বৎসর অনেক টাকা ব্যয় করিতেন । রাণাঘাট ভট্টাচাৰ্য্য-পল্লাতে অত্যন্ত জলকষ্ট ছিল । তিনি তথায় এক খণ্ড জমি খরিদ করিয়া একটা বৃহৎ ইন্দারা নিৰ্ম্মাণ করিয়া দিয়াছেন এবং তাহা স্বীয় সহধৰ্ম্মিণী পতিব্ৰতা শশীমুখী দেবীর দ্বারা শাস্ত্ৰীয় বিধানে প্ৰতিষ্ঠিত করিয়া সাধারণের ব্যবহারের জন্য দান করিয়াছেন । এই উপলক্ষে অধ্যাপক-নিমন্ত্রণ,ব্ৰাহ্মণ-ভোজন ও দরিদ্র-নারায়ণ-সেবায় অনেক অর্থব্যয় হয় । এই ইন্দারা এখনও সাধারণে ব্যবহার করিতেছেন ।