পাতা:বংশ-পরিচয় (দ্বাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Σ8 ο বংশ-পরিচয় ভূত্য সংবাদ দিলে রামলালবাবু স্বয়ং আসিয়া দেখিলেন, লোকটী আশু মৃত্যুমুখে পতিত হইবে । তাহার সাধবী স্ত্রী সজলনয়নে বলিল যে, তাহার স্বামী বহুদিন হইতে দুরারোগ্য রোগে ভূগিতেছে । দৈবানুগ্ৰহ না হইলে জীবনের আর কোন আশা নাই দেখিয়া সে তাহার কঙ্কালসার স্বামীকে লইয়া ৬। তারকেশ্বরের দ্বারে হত্যা দিয়া জানিয়াছে রামলাল বাবুর ভুক্তাবিশিষ্ট প্ৰসাদ খাওয়াইলে তাহার স্বামী রোগমুক্ত হইবে } আশ্চৰ্য্য বিশ্বাস দেখিয়া সকলে অবাক চাইলেন । যাহা হউক, রামলাল সকলের নিষেধ অগ্ৰাহা করিয়া মরণোন্মুখ সেই রোগীকে সস্ত্ৰীক তাহার বাড়ীতে স্থান দিলেন এবং সযত্নে তাহাদের বাসনা পূর্ণ করিলেন । আশ্চর্য্যের বিষয়, ৬/ তারকনাথের কৃপায় এক সপ্তাহের মধ্যে এই মরণাপন্ন রোগী সবল শরীরে বাড়ী ফিরিয়া গেল । সে রাজমিস্ত্রীর কাৰ্য্য করিত এবং এই ঘটনার পূর্বে তাহারা আর কখন রাণাঘাটে আসে নাই । দুই মাস পরে সম্পূর্ণ আরোগ্য লাভ করিয়া সে তাহার জীবনদাতা রামলালবাবুর বাড়ী ও তাহার জনৈক বন্ধুর বাড়ীতে একাদিক্ৰমে প্ৰায় এক বৎসর কাল রাণাঘাটে রাজমিস্ত্রীর কার্য্য করে এবং তাহার পর ও মধ্যে মধ্যে তাহার জীবনদাতার প্রসাদের জন্য আসিত । রামলালের প্রগাঢ় কৰ্ত্তব্যনিষ্ঠা ছিল । তাহার এক মাতুলানীর আদ্যকৃত্যে র্তাহার পুত্ৰ তিলকাঞ্চন শ্রাদ্ধের ব্যবস্থা করেন । বৃদ্ধা মাতুলানীর পারলৌকিক ক্রিয়া অসম্পূর্ণ হইবে-ইহা রামলালের অসহ্য । তিনি যথারীতি বৃষোৎসর্গ শ্ৰাদ্ধ ও দরিদ্র-সেবার জন্য অতিরিক্ত ব্যয়ভার বহন কারিয়া সেইরূপ ব্যবস্থা করেন । রামলালের মাতুলের জনৈক বন্ধু তাহার নিকট হইতে হ্যাণ্ডনেটে কিছু টাকা কার্জ করেন। পরে কোন লোকের প্ররোচনায় এই দেন। ও হ্যাণ্ডনেট সমস্তই অস্বীকার করেন। অনন্তোপায় হইয়। রামলালকে