পাতা:বংশ-পরিচয় (দ্বাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রায় শ্ৰীযুক্ত নগেন্দ্ৰনাথ গঙ্গোপাধ্যায় বাহাদুর Y 8VS) যাওয়ার ব্যবস্থা করেন । কলিকাত। হইতে রাণাঘাট - ৬ মাইল দূর এবং সে সময় ট্ৰেণের সংখ্যাও কম ছিল। তথাপি পিতামাতা তাহদের একমাত্র পুত্ৰকে চক্ষের আড়ালে রাখিতে কষ্ট বোধ করিতেন বলিয়া নগেন্দ্ৰনাথ ১৬ বৎসর কাল বাড়ী হইতে যাতায়াত করিয়াছিলেন । তিনিই রাণাঘাট হইতে সর্ব প্ৰথম দৈনিক প্যাসেঞ্জার ছিলেন । যদিও এতদূর হইতে নানা অসুবিধা ভোগ করিয়া যাইতে হইত, তথাপি 'অফিসের কাৰ্য্যে নগেন্দ্ৰনাথের কোন ক্ৰটী বা শৈথিল্য কেহ কখনও লক্ষ্য করেন নাই । তাহার অসাধারণ স্মৃতিশক্তি, অধ্যবসায়, একাগ্রতা ও সুশিক্ষা গুণে অফিসের সকলেই মুগ্ধ ছিলেন । তত্ৰত্য সর্বপ্ৰধান বাঙ্গালী কৰ্ম্মচারী স্বগীয় গিরিশচন্দ্ৰ মিত্র নগেন্দ্রনাথকে স্বীয় পুত্রের ন্যায় স্নেহ করিতেন এবং তঁাহার যোগ্যতা ও কৰ্ত্তব্যনিষ্ঠার উপর এত বিশ্বাস ছিল যে, তাহার স্বাক্ষর দেখিলে তিনি সে কাৰ্য্য পুনরায় দেখা আবশ্যক মনে করিতেন না । ইহাতে কোন লোক হিংসাপরায়ণ চইয়া একদিন নগেন্দ্ৰনাথের কাৰ্য্যে দোষ দেখাইয়া সাহেবের নিকট অভিযোগ করেন। উত্তরে সাহেব বলিয়াছিলেন, “Don't you come to tell me anything against him. You must bear in inind that before long you will be required to work ।der hi৷” এইরূপে প্ৰায় প্রতি বৎসর নগেন্দ্রনাথের পদোন্নতি হইতে লাগিল । পুত্রের অবাধ উন্নতির পথ প্ৰশস্ত দেখিয়। রামলালবাবু ক্ৰমে নিশ্চিন্ত মনে স্বীয় কৰ্ম্ম হইতে অবসর গ্ৰহণ করিলেন। সস্ত্রীক নানা তীর্থ পৰ্য্যটন এবং স্থানীয় খ্যাতনামা পণ্ডিতগণ দ্বারা প্ৰতিদিন নিজগৃহে ধৰ্ম্মশাস্ত্ৰ আলোচনা, দরিদ্রের সেবা ইত্যাদি সৎকাৰ্য্যে পরমানন্দে দিনপাত করিতেন। ১৯০০ খষ্টাব্দের জানুয়ারী মাসে রামলাল ঈশ্বরের নাম স্মরণ করিতে করিতে স্বৰ্গারোহণ করেন । তঁহার মৃত্যুর পর দেখা গিয়াছিল:তাহার দুইখানি হস্ত বক্ষস্থলে জপের অবস্থায় রক্ষিত আছে।