পাতা:বংশ-পরিচয় (দ্বাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বংশ-পরিচয় وما 8 لا করিতেন না । রোগীর শুশ্রুষা করিতে তিনি অদ্বিতীয়া ছিলেন । পৌল বা পোলী কাহারও অসুখ হইলে তিনি আহার-নিদ্রা ত্যাগ করিযী। তাহাদের শুশ্রুষা করিতেন। এরূপ দেখা গিয়াছে যে, তিনি উপযুপরি ৭ ॥৮ রাত্ৰি অনিদ্রায় রোগীর নিকট অকাতরে বসিয়া কাটাইয়াছেন । তাহার সমস্ত কাৰ্য্যেই এমন সুশৃঙ্খলা ছিল যে, তিনি কাহাকে ও কোন দ্রব্য কখন চাহিবার অবসর দিতেন না ; সমস্ক’ই পূৰ্ব্বদ হইতে যথাস্থানে রাখিতেন । তাহার একাপ দূরদর্শিতা ছিল যে, তিনি উপস্থিত থাকিলে রন্ধন-গৃহে ১উক বা দেব-মন্দিরে ইউক, রোগীর পাশে কিম্বা অভ্যাগতের আহবানে কোথাও কোন দ্রব্যের অভাব থাকিস্ত না তাঙ্গার ন্যায় পুণ্যবতী স্ত্রীলোক বিরল। তিনি কোন কায্যে কখন, আড়ম্বর করিতেন না । তীৰ্থপৰ্য্যটন, গ্রহণে পুরশ্চরণ, পল্লীস্ত ব্ৰাহ্মণ, বালকের উপনয়ন, দরিদ্র কন্যার বিবাহ-দান ইত্যাদি ধৰ্ম্মকাৰ্য্যে মাত ? ঠাকুরাণীর জন্য ব্যয় করিতে নগেন্দ্ৰনাথ মুক্ত হস্ত ছিলেন । কাশীপাৰে, ভাগবত পাঠ ও কপি ক’তা দেওয়ার জন্য শশীমুখী দেবী ইচ্ছা প্ৰকাশ করেন । নগেন্দ্ৰনাথ সেখানে একটা বৃহৎ অট্টালিকা ভাড়া করিয়া নিয়মিত কাল প্ৰতিদিন প্ৰাতে ভাগবত পাঠ ও অপরাহুে কথকতার ব্যবস্থা করেন । এই উপলক্ষে তাহার বাসায় প্ৰত্যহ অনেক ভদ্র লোকের সমাগম হইত। ব্ৰত-সমাপনস্তে কাশীধামে বহুসংখ্যক বাঙ্গালী অধ্যাপককে নিমন্ত্রণ করা হয় এবং তাহাদিগের যথোচিত মৰ্য্যাদা রক্ষণ, ব্ৰাহ্মণ-ভোজন ও দরিদ্রকে অর্থ-বিতরণে অনেক টাকা ব্যয় হয় । ১৯২২ খ্ৰীষ্টাব্দে নগেন্দ্ৰনাথ শারদীয় পূজার সঙ্গে কিছু দিন ছুটী লইয়া সপরিবারে বৈদ্যনাথধামে বেড়াইতে যান। কয়েক সপ্তাহ অতীত হইলে হঠাৎ একদিন সেই পুণ্যক্ষেত্র মহাপীঠস্থান বৈদ্যনাথধামে শশীমুখী দেবী পুত্র, পৌত্র ও পুত্রবধুর সম্মুখে ৭২ বৎসর বয়সে ইহলোক ত্যাগ করেন। মৃত্যুর কয়েক দিন পূর্বেও তিনি বৈদ্যনাথদেবের