পাতা:বংশ-পরিচয় (দ্বাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঢাকা জিলার মামুদপুরের জমিদার ও কলিকাতা হাটখোলার প্রসিদ্ধ ধনী মহাজন শ্ৰীযুক্ত সীতানাথ চৌধুরী ঢাকা জিলার অন্তর্গত প্ৰসিদ্ধ মামুদপুর ( মহম্মদপুর) গ্রামের বৈশ্য চৌধুরী জমিদার-বংশের ইতিহাস লিখিতে গেলেই “ বাণিজ্যে বসতে লক্ষ্মী” প্ৰবাদ-বাক্যের সার্থকতা এবং স্বধৰ্ম্মানুরাগ ও পরোপকার:দ্ভিতে যে সাংসারিক উন্নতি সাধিত হয় তাহার প্রকৃষ্ট প্রমাণ পাওয়া | | এই বংশ বৈশ্যসমাজে সবিশেষ প্ৰতিষ্ঠাপন্ন, সন্মানভাজন বহু পুরাতন বনিয়াদি ঘর ; এই বংশের আদি স্থাপয়িতা বৃন্দাবনচন্দ্র বৈশ্য চৌধুরী । ইহার চাবি প্রপৌত্র মধ্যে সৰ্বকনিষ্ঠ মনোহর নিঃসন্তান ; অবশিষ্ট তিন প্রপৌল সুগলিকৃষ্ণ, কেবলকৃষ্ণ ও ব্ৰজমোহন । বৈশ্ল্যোচিত ব্যবসায়ের আকর্ষণে প্ৰাচীন কালের বাঙ্গালীদের চিরপ্রিয় নীতি বিদেশ-গমন-বিমুখত পরিত্যাগ ও অদম্য সাহসে নির্ভর করিয়া কেবলকৃষ্ণ ও যুগলকৃষ্ণ দুই ভাই বাখরগঞ্জ জেলার অন্তৰ্গত তখনকার দিনে ভীষণ জঙ্গলাদি পূর্ণ, হিংস্রপশুসমন্বিত দস্তু-তস্কারাদিঅধ্যাযিত ঝিলন ফরিদপুর নামক স্থানে উপস্থিত হইয়া বালাম চাউলের কারবার ও বন্দর স্থাপন করেন। ক্রমে কারবারের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে বাখরগঞ্জের মধ্যে বন্দর ফরিদপুর নামক স্থানে গোলা নিৰ্ম্মাণে সদর মোকাম স্থাপনে—ঝিলনা, ভূইরা, কানাইপুর, আমিরাবাদ প্রভৃতি স্থানে শাখা স্থাপনে এবং কেবলকৃষ্ণ কলিকাতা আগমন করতঃ হাটখোলা, গঙ্গার ধারে ২নং নয়ান সুর লেনে গাদীবাড়ী স্থাপনে চাউলের