পাতা:বংশ-পরিচয় (দ্বাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sct বংশ-পরিচয় চালানী কাজ আরম্ভ করেন । যুগলকৃষ্ণ বাখরগঞ্জে থাকিয়া নানা স্থান হইতে প্ৰভূত চাউল খরিদ ক্ৰমে গোলাতে বাধাই করিয়া রাখিতেন এবং কেবলকৃষ্ণ কলিকাতায় থাকিয়া বাজারের অবস্থা অনুসন্ধানে চাউল পাঠাইতে সংবাদ দিলেই যুগলকৃষ্ণ চাউল পাঠাইয়া দিতেন এবং কেবল - কৃষ্ণ কলিকাতার বাজারে সুযোগ বুঝিয়া বিক্ৰি দিয়া প্ৰভূত লাভ করিতেন। সে সময় ইহাদের কাজ ভগবৎ কৃপায় এতদূর উন্নত হইয়াছিল যে, ৫। ৭ হাজার কৰ্ম্মচারী নিযুক্ত ছিল এবং তিন শতাধিক বড় বড় চালানী নৌকা ইহাদের নিজেদের ছিল । কেবলকৃষ্ণের আমলে কলিকাতার চাউলের বাজারে তাহার এতদূর প্রতিপত্তি ছিল যে, তিনি ইচ্ছা করিলে চাউলের বাজার-দর উঠাইতে নামাইতে পারতেন । কিন্তু এতাধিক ধনার্জনেও ইহারা অহঙ্কারে স্ফীত না হইয়া পূৰ্ব্বব ২। নিরভিমান, সরল ও বিনয়ী ছিলেন এবং স্বধৰ্ম্মানুরাগ ও সততাই ইহাদের ব্যবসায়ে উন্নতির মূল কারণ ছিল। পরোপকার-প্রবৃত্তি হঁহাদের অনন্যসাধারণ ছিল । এখনকার নব্য শিক্ষা না পাকিলেও তাহদের ভাই ভাই ঠাই ঠাই ছিল না ; তাহারা ব্যবসায়ে প্রভূত ধনসম্পত্তি লাভ করিয়া তাহা মাত্র আত্মসুখে, ঐহিক সম্ভোগে নিসোজিত করিতেন। না ; ধৰ্ম্মানুরাগ ও পরোপকার-বৃত্তিতে উদ্দীপিত হইয়া মামুদপুর বাড়ীতে সদাব্রত অতিথিশালা স্থাপন করিয়াছিলেন এবং এখনকার দিনের রিলিফ ( Relief) কাৰ্য্যের ভাবে অনুপ্রা ণত হইয়া অতি বৃহৎ বৃহৎ বিংশত্যাধিক দীঘি ও সাগর মামুদপুর ও তৎপাশ্ববৰ্ত্তী স্থানে সর্বসাধারণের ব্যবহার জন্য খনন করাইয়া উৎসগা করিয়া দিয়াছিলেন । তাহাতে রীতিমত সানবাধা ঘাটে পথিকের ব্যবহার জন্য তুলসীবৃক্ষ স্থাপিত, পুষ্পচন্দনাদির ব্যবস্থা ও চিড় খাইবার জন্য পাথরের বাটী ংলগ্ন করিয়া দিয়াছিলেন । পথিকদের বিশ্রামার্থ ঘাটের উপর পাকা চিলা ছত্ৰ করিয়া দিয়াছিলেন । নিজ গ্রামে মদনমোহন বিগ্ৰহ per