পাতা:বংশ-পরিচয় (দ্বাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হেতমপুর-রাজবংশ ) ধিকারী হন । তিনি যতদিন অপ্ৰাপ্তবয়স্ক ছিলেন, ততদিন তাহার সম্পত্তি কোট অফ ওয়াড সেরা পরিচালনাধীন ছিল । তিনি প্ৰথমে রাজা রাজেন্দ্রলাল মিত্রের তত্ত্বাবধানে চালিত কলিকাতা ওয়াডস ইনষ্টিটিউসনে শিক্ষালাভ করেন ; পরে বারাণসীর ওয়াডর্স ইনষ্টিটিউসনে তঁহাকে শিক্ষালাভার্থ প্রেরণ করা হয় । ১৮৬৯ খ্ৰীষ্টাব্দে তিনি প্ৰাপ্তবয়স্ক হইয়া স্বহস্তে জমিদারী-পরিচালনার ভার গ্ৰহণ করেন । তিনি আদর্শচরিত্র, করুণহৃদয় এবং ধৰ্ম্মপ্রবণ ছিলেন বলিয়া বহু গুণমুগ্ধ বন্ধুলাভ করিয়াছিলেন। যে সকল রাজপুরুষ তাহার সংস্পর্শে আসিতেন তাহারাই বুঝিতে পারিতেন যে, রামরঞ্জন ন্যায়নিষ্ঠ ও উদারহৃদয় ভূম্যধিকারী। তিনি তঁহার দরিদ্র। প্ৰজাগণের অভাব-অভিযোগের প্রতীকার অবিলম্বে করিতেন । এইজন্য তিনি তাহাদের সম্মান, শ্রদ্ধা ও প্রশংসা অজ্জন করিয়াছিলেন। ১৮৭৪ খৃষ্টাব্দের ভীষণ দুর্ভিক্ষের সময়ে তিনি তাহাদিগকে অনেক টাকা খাজনা রেহাই দেন এবং অন্যান্য বহুপ্রকারে তঁহাকে সাহায্য করেন । ভারতের তদানীন্তন রাজপ্রতিনিধি লর্ড নৰ্থৰূক রামরঞ্জনের এই বদ্যান্যতার জন্য তাহার বিস্তর প্রশংসা করেন এবং তাঁহাকে “রাজা” উপাধিতে ভূষিত করেন। ইহার তিন বৎসর পরে তিনি “রাজা বাহাদুর” উপাধি লাভ করেন । মহামান্য সম্রাট সপ্তম এডওয়ার্ডের গৌরবময় শাসনকালের স্মৃতিরক্ষাকল্পে রাজা রামরঞ্জন চক্ৰবৰ্ত্তী বাহাদুর তাহার জমিদারীর কল্যাণকল্পে ১৫ হাজার টাকা ব্যয় করেন। বিগত দিল্লী দরবার উপলক্ষে তিনি মহামহিমান্বিত সাম্রাজ্ঞীর হস্তে অৰ্দ্ধ লক্ষ টাকা প্ৰদান করেন এবং নিবেদন করেন যে, সাম্রাজ্ঞীর ইচ্ছামত যে কোনও লোকহিতকর কাৰ্য্যে ইহা ব্যয়িত হইবে । ১৯০২ খৃষ্টাব্দের দিল্লা দরবারে তিনি উপস্থিত ছিলেন ; কিন্তু ১৯১১ খৃষ্টাব্দের দিল্লী দরবারে অসুস্থতার জন্য যোগদান করিতে পারেন নাই। ১৯১২ খৃষ্টাব্দে সমাটের জন্মদিন উপলক্ষে তিনি “মহারাজা”