পাতা:বংশ-পরিচয় (দ্বাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বৰ্গীয় ডাক্তার দ্বারকানাথ রায় Srb করিতেন না । ঢাকায় স্কুলে পড়িবার সময় যখন শ্রাবণ ভাদ্র মাসে খুব ঝড়ের মত বাতাস হইত। আর বুতীগঙ্গা নদীতে বড় বড় ঢেউ উঠিত, চাকরাটা তখন নদীতে পাড়ি দিতে ভয় পাইত, পাছে নৌকা ডুবিয়া যায়। তখন দ্বারকানাথ সাহস করিয়া সেই ঢেউয়ের মধ্যে পাল দিয়া, বইঠা নিজে ধরিয়া নদীতে পাড়ি দিতেন। নৌকার ম্যাচাইল তিনি নিজেই বঁাশ চিরিয়া পরিষ্কার করিয়া আর নিজেই বেত দিয়া ঠিকমত বাধিতেন। তিনি সুন্দর করিয়া নৌকার ছাঁই ( ছাদ ) বঁাধিতে জানিতেন। এসব কাজ করিতে তিনি বেশ পটু ছিলেন। দ্বারকানাথ ১৪-১৫ বৎসর বয়স পৰ্য্যন্ত এইরূপ খেলাধূলা, হুড়াহুড়ি, মারামারি করিয়া কাটাইয়াছিলেন। লেখাপড়ার উপর কোনও রূপ অনুরাগ বা টান ছিল না। গ্রামের বাঙ্গালা ছাত্রবৃত্তি ছাত্রজীবন-কৈশোর স্কুলে অন্যান্য ছেলেরা যাইত, তিনিও যাইতেন ; পড়াশুনার উপর তাহার কিছুমাত্ৰ মনোযোগ ছিল না। যখন তিনি প্ৰথম শ্রেণীতে পড়িতেন, তখন ইহার জ্যেষ্ঠাগ্রজ ( বড় দাদা ) স্থির করিলেন যে, কোনও রূপে ছাত্ৰবৃত্তি পাশ করিয়া ঢাকা নিৰ্ম্ম্যাল স্কুলে ( Normal ) তিন বৎসর পড়িয়া যদি দ্বারকানাথ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইতে পারে, তাহা হইলে কোনও প্রকারে ১৫২০ টাকা মাহিনার পণ্ডিতী করিয়াও খাইতে পরিবে । সেই সময়ে দ্বারকানাথের নিজের কোন মতামত ছিল না, ভ্রাতৃগণ যাহা স্থির করেন, তাহাঁই করিতে হইবে। বড় দাদা ত এই স্থির করিলেন। দ্বারকানাথও জানিতেন-তাহাকেও তাঁহাই করিতে হইবে অর্থাৎ নরম্যাল স্কুলে পড়িয়া পণ্ডিত হইতে হইবে ; কারণ তিনি বাড়ীর কৰ্ত্তা । কিন্তু দ্বারকানাথের মধ্যম ভ্রাতার পড়াশুনার উপর বিশেষ মনোযোগ ছিল আর তিনি অতি অল্প বয়সে ছাত্রবৃত্তি পাশ করিয়া স্কলার্সিপি পাইয়া ঢাকাতে পড়াশুনা করিয়া এনট্রান্স পরীক্ষাতেও স্কলার্সিপি