পাতা:বংশ-পরিচয় (দ্বাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হেতমপুর-রাজবংশ S O হৃদয় ছিলেন ! তাহার মৃত্যুতে প্ৰজাগণ গভীর শোক প্ৰকাশ করিয়াছিল। ইনি শ্ৰীশ্ৰীগৌরাঙ্গমহাপ্রভুর একটি মন্দির নিৰ্ম্মাণ করেন এবং মহাপ্রভুর সেবা ও ভোগ-রাগাদির জন্য বহুমূল্য সম্পত্তি দান করিয়া যান । এই সম্পত্তির আয় হইতে এই মন্দিরে নিত্য দরিদ্রনারায়ণের সেবা হইয়া থাকে। মহারাণী কলেজের উন্নতিকল্পে বার্ষিক ৪০০০২ চারি হাজার টাকা আয়ের সম্পত্তি দান করিয়া গিয়াছেন । ইনি নবদ্বীপে ৬০ হাজার টাকা ব্যয়ে একটি ধৰ্ম্মশালার প্রতিষ্ঠা করেন ; এখানে সকল সময়েই গঙ্গামানার্থীগণ আশ্রয় পাইয়া থাকে । ১৯১৩ খ্ৰীষ্টাব্দের জানুয়ারী মাসে মহারাজা রামরঞ্জন চক্ৰবৰ্ত্তী স্বাগারোহণ করেন । মহারাজ। রামরঞ্জনের পাঁচ পুত্র। প্ৰথম পুত্ৰ-মহারাজকুমার নিত্যনিরঞ্জন ; দ্বিতীয়-মহারাজকুমার সত্যনিরঞ্জন ; তৃতীয় - মহারাজকুমার মহিমানিরঞ্জন ; চতুর্থ-মহারাজকুমার সদানিরঞ্জন এবং পঞ্চম -- মহারাজকুমার কমলানিরঞ্জন | মহারাজা রামরঞ্জনের উইল অনুসারে তাহার বিপুল জমিদারী তদীয় পুত্ৰগণ কত্ত্বক যোগ্যতার সহিত পরিচালিত হইতেছে। জ্যেষ্ঠপুত্ৰ মহারাজ-কুমার নিত্যনিরঞ্জন অকালে মৃত্যুমুখে পতিত হন । মৃত্যুকালে তিনি একমাত্ৰ পুত্র-জ্ঞাননিরঞ্জনকে রাখিয়া গিয়াছিলেন। কিন্তু দুঃখের বিষয়, শ্ৰীমান জ্ঞাননিরঞ্জনও মাত্র ১৮ বৎসর বয়সে ইহধাম পরিত্যাগ করেন । দ্বিতীয়পুত্ৰ কুমার সত্যনিরঞ্জন চক্ৰবৰ্ত্তী সত্বরেই খ্যাতি ও প্ৰতিষ্ঠা অৰ্জন করিয়াছেন। তাহার চেষ্টায় হেতমপুর কলেজ দ্বিতীয় শ্রেণীর কলেজ হইতে প্ৰথম শ্রেণীর কলেজে উন্নীত হইয়াছে। তাহারই উদ্যোগে আজি ছাত্ৰগণ এই কলেজে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বি-এ পৰ্য্যন্ত অধ্যযন করিতে পারিতেছে । ইহাতে এই অঞ্চলের