পাতা:বংশ-পরিচয় (দ্বাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২৭২

RSS tra-offs পরদিন দ্বারকানাথ বোম্বাইয়ের ভিক্টোরিয়া ষ্টেশন হইতে ট্ৰেণযোগে কলিকাতা যাত্ৰা করিলেন । কলিকাতায় পৌছিয়া তিনি দুৰ্গামোহন দাশ মহাশয়ের বাড়ীতে উঠলেন । সেখানে ২১ দিন থাকিয়াই ঢাকা রওনা হন । ঢাকায় পৌছিয়া তিনি দেখেন যে, তাহার মধ্যম অগ্রজ প্ৰসন্নকুমারের পত্নী অত্যন্ত পীড়িত এবং শয্যাগত । Civil Surgeon Lt. Colonel Cromby vitas fisfrit & করিতেছেন । তিনি রাত্ৰিতে ও সকাল বেলা এক রকম থাকেন, কিন্তু বিকাল বেলা ৪টার সময় হইতে আরম্ভ হইয়া ৭৷৮টা পৰ্য্যন্ত যন্ত্রণায় চীৎকার করেন। তঁহাকে পাইয়া দাদা ও বধূঠাকুরাণী খুব সন্তুষ্ট হইলেন। কিন্তু বধুঠাকুরাণীর যন্ত্রণা দেখিয়া তাহার মনে বঙু কষ্ট হইতে লাগিল । দুই চারিদিন এইরূপে যাইল । দ্বারকানাথ শুনিলেন, মাস দেড়েক যাবৎ এইরূপ হইয়াকে । একদিন দ্বারকানাথ বধুঠাকুরাণীকে বলিলেন, আপনি এতদিন যাবৎ ঔষধ খাইতেছেন, বিশেষ কিছু ফল হয় নাই । আপনি এখন ঐ ঔষধ বন্ধ করিয়া আমার ঔষধ খান, আপনি দুই চারি দিনের মধ্যেই ভাল হইয়া যাইবেন। Wirts Homoeopathys উপর বিশেষ বিশ্বাস ছিল না । বিশেষতঃ একজন এত বড় ডাক্তার দেখিতেছেন, তঁহাকে কি করিয়া কি বলিবেন । শেষে দ্বারকানাথ বধুঠাকুরাণীর সহিত যুক্তি করিয়া ঠিক করিলেন, ডাক্তার ও দাদাকে কিছু বলিবার দরকার নাই । ডাক্তার যেরূপ আসিতেছেন আসুন, তবে তঁহার ঔষধ না খাইয়া রাখিয়া দেওয়া যাউক । দুই এক দিনের মধ্যে যন্ত্রণা দূর হইবে বলিয়া মনে হয় । দ্বারকানাথ প্রথম দিন Lyclopodium 30 বলিয়া একটা ঔষধ তিন মাত্রা সকাল হইতে চারি ঘণ্টা অন্তর অন্তর দিয়াছিলেন । সৌভাগ্যের বিষয়, সেদিন ৪টার সময় কলিকাতা ও ঢাকায় অবস্থান ঢাকায় বধুঠাকুরাণীর চিকিৎসা ও রোগমুক্তি