পাতা:বংশ-পরিচয় (দ্বাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বৰ্গীয় সারদাচরণ চট্টোপাধ্যায় R\OS এক কন্যা ব্যতীত কেহই দীর্ঘজীবন লাভ করিতে পারে নাই । ১৮৯৫ সালে জ্যৈষ্ঠমাসে সারদাচরণের স্ত্রী-বিয়োগ হয়। তখন তঁাহার একটিমাত্র পুত্ৰ বৰ্তমান। সেও তঁহার অগ্রজদিগের ন্যায় অকালে কালগ্ৰাসে পতিত হইতে পারে।-এই আশঙ্কায় সারদাচরণের আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধব সকলেই তঁহাকে পুনরায় দার-পরিগ্ৰহ করিবার নিমিত্ত সনির্বন্ধ অনুরোধ করেন । সারদাচরণ প্ৰথমে সে অনুরোধে সম্মত হন নাই । তাহার আত্মীয়গণ জানিতেন, তিনি অত্যন্ত মাতৃভক্ত । তাহার বিবাহ দিতে কৃতসঙ্কল্প হইয়। তখন তঁাহারা তাহার মাতৃদেবীর নিকট অনুযোগ করিলেন। অবশেষে মাতৃদেবীর আদেশে সারদাচরণ পুনরায় ১৮৯৫ সালে অগ্রহায়ণ মাসে হুগলী জেলার অন্তর্গত কোন্নগর-নিবাসী কেদারনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়ের কন্যাকে বিবাহ করেন । সন। ১৩০২ সালে কাৰ্ত্তিক মাসে সারদাচরণের পিতা ৬/কাশীলাভ করেন । পিতার মৃত্যুর পর তিনি নিজে স্বাধীনভাবে কলিকাতার কারবারের কার্য্যগুলি চালাইতে আরম্ভ করেন এবং দুই চারি বৎসরের মধ্যেই উহার অসামান্য প্ৰতিভাবলে তিনি কারবারগুলির প্রভূত উন্নতিসাধনপূর্বক প্রচুর অর্থ উপাৰ্জন করেন। কেবল যে ব্যবসায়-কাৰ্য্যে। সারদাচরণের অদ্ভুত দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা ছিল তাহা নহে, তিনি সকল গুণেই গুণবান ছিলেন বস্তুতঃ তাহার সদগুণগ্ৰাম আলোচনা করিলে তঁাহাকে একজন আদর্শ পুরুষ না বলিয়া থাকা যায় না। ধৰ্ম্মে, কৰ্ম্মে, সংসারে এবং সমাজে, ছোট বড় সকল ব্যাপারে তাহার আচার-ব্যবহার ও কাৰ্য্যকলাপ দৃষ্টান্তস্থানীয়। সারদাচরণের ন্যায় নিষ্ঠাবান হিন্দু এখন আর বেশী দেখিতে পাওয়া যায় না। যদিও কারবার উপলক্ষ্যে নানা স্থানে নানা কাৰ্য্যে তঁহাকে SV)