পাতা:বংশ-পরিচয় (দ্বাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৩০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R8 R 비 어f5 তিনি জানিতেন, সহর হইতে বিশিষ্ট শিক্ষিত ভদ্রলোক মধ্যে মধ্যে গ্রামে যাতায়াত না করিলে গ্রামের দুর্দশ ক্রমেই বাড়িয়া যাইবে। সেই জন্য সন্ত্রান্ত লোকের সংস্পর্শে আনিয়া গ্রামগুলিকে ক্ৰমশঃ শ্ৰীসম্পন্ন করিবার মানসে তিনি অকাতরে অথব্যয় করিতেন । অতিথিদিগের বসবাস ও আহারাদির কোনও কষ্ট না হয়—এই উদ্দেশ্যে তিনি স্বগ্রামে সুশোভন একখানি “বাংলা বাটী” নিৰ্ম্মাণ করাইয়া অতিথি-পরিচর্য্যার সুব্যবস্থা করিয়া গিয়াছেন। গভর্ণমেণ্টের কৰ্ম্মচারিগণ কিম্বা অন্য সন্ত্রান্ত ব্যক্তি পরিদর্শন-কাৰ্য্যে উক্ত অঞ্চলে গমন করিলে উক্ত “বাংলা”য় সুখে স্বচ্ছন্দে বাস করিতে পারেন । দেশপ্ৰাণ সারদাচরণের সুব্যবস্থায্য তাহাদের কোন কষ্টই হইবে না । তখন দেশে ডাক্তারি চিকিৎসার কোনও উপায় ছিল না । ডাক্তার ও চিকিৎসা-অভিাবে পল্লীবাসী লোকের কষ্টের সীমা ছিল না । যাহাতে জনসাধারণ অনায়াসে বিনাব্যয়ে সুচিকিৎসা ও সুযোগ্য ডাক্তারের সাহায্য লাভ করিয়া ব্যাধি ও অকাল মৃত্যুর কবল হইতে পরিত্ৰাণ প্ৰাপ্ত হয়, তজজন্য সারদাচরণ প্ৰভূত অৰ্থ ব্যয় করিয়া কলিকাতা মেডিকেল কলেজের এল-এম-এস-পরীক্ষোৰ্ত্তীর্ণ উপযুক্ত ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে আধুনিক সকল সান্ধ-সরঞ্জামে সজ্জিত করিয়া ১৯১১ সালে উদয়নারায়ণপুরে “ঈশানচন্দ্ৰ ত্ৰৈলোক্যতারিণী” নামে এক দাতব্য চিকিৎসালয় প্ৰতিষ্ঠিত করেন। উক্ত চিকিৎসালয় স্থাপিত হওয়া অবধি দরিদ্র আৰ্ত্ত পীড়িতের অশেষ উপকার সাধিত হইতেছে । সারদাচরণের প্রগাঢ় বিদ্যানুরাগ ছিল । তিনি নিজে অবস্থাচক্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চশিক্ষা অর্জন করিবার সুবিধা পান নাই ; কিন্তু দেশের লোক সুশিক্ষিত হইতে না পারিলে দেশের প্রকৃত উন্নতি হইবার সম্ভাবনা নাই, ইহা তিনি বেশ বুঝিতেন। বিদ্যার্থমাত্রই তাহার নিকট সাহায্যের জন্য উপস্থিত হইলেই তিনি সানন্দে তাহার