পাতা:বংশ-পরিচয় (দ্বাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হেতমপুর-রাজবংশ সিউড়ি চেরিটেবল ডিস্পেন্সারীতে রাজা সত্যনিরঞ্জন ২০ হাজার টাকা দান করিয়াছেন এবং গবমেণ্ট তাহাকে ‘বাহাদুর” উপাধিও প্ৰদান করেন । ১৯২৭ খৃষ্টাব্দে যে দরবার হয় সেই দরবারে বাঙ্গালার গবৰ্ণর বাহাদুর বক্তৃতা-প্রসঙ্গে তাহার সম্বন্ধে নিম্নরূপ অভিমত প্ৰকাশ マFCエ 2ー অতঃপর গবর্ণর দরবারের কাৰ্য্যারম্ভের অনুমতি প্ৰদান করেন । চীফ সেক্রেটারী রাজা সত্যনিরঞ্জনকে প্রদত্ত রাজা বাহাদুর উপাধির সনন্দ পাঠ করিলে গবৰ্ণর রাজা বাহাদুরকে সম্বোধন করিয়া বলেন,- “আপনি বাঙ্গালীর প্রধান রাজভক্ত জমিদারগণের অন্যতম। ১৯২৬ খৃষ্টাব্দে আপনি রাজ-উপাধিতে ভূষিত হইয়াছেন। তদবধি আপনি জনসাধারণের কল্যাণকর বহু কাৰ্য্যে মুক্ত হস্তে অর্থসাহায্য করিয়া আপনার বংশের সদনুষ্ঠানের ধারা অক্ষুন্ন রাখিয়াছেন । আপনি স্বয়ং সাধারণাহিত্যকরকাৰ্য্যসমূহে বিশেষরূপ আগ্ৰহ প্ৰকাশ করিয়া থাকেন ! বীরভূম জেলা বোর্ডের চেয়ারম্যান-রূপে আপনি প্ৰভূত সাফল্য অর্জন করিয়াছেন। আপনার “রাজা বাহাদুর” উপাধি-প্ৰাপ্তিতে আমি আপনাকে অভিনন্দিত করিতেছি ।” সিউড়ি হইতে দুবরাজপুর পর্য্যন্ত যে রাস্ত হইতেছে সেই রাস্তায় বক্রেশ্বর সেতুনিৰ্ম্মাণের জন্য রাজা বাহাদুর সত্যনিরঞ্জন ৯০ ০০২ টাকা বীরভূম জেলা-বোর্ড-ভাণ্ডারে দান করিয়াছেন। দুবরাজপুর ইল্লামবাজার রাস্তায় শাল নদীর উপর একটি সেতু ( causeway ) নিৰ্ম্মাণ করিবার জন্য তিনি ৪০ ০০২ টাকা প্ৰদান করিয়াছেন। সাধারণের কল্যাণকল্পে তাহার এই সকল ও অন্যান্য দান গবমেণ্ট কৃতজ্ঞতার সহিত গ্ৰহণ করিয়াছেন। পূর্বেই উল্লিখিচা হইয়াছে, বীরভূম জেলাবোর্ডের চেয়ারম্যানরূপে রাজা বাহাদুর সাফল্য অর্জন করিয়াছেন। বাঙ্গালা গৰমেণ্ট বাঙ্গালার