পাতা:বংশ-পরিচয় (দ্বাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৩৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হিলি জমিদার-বংশ २९२ আতিথ্যগ্ৰহণ করেন । “হিতসাধন মণ্ডলী”র সভাপতি ডাক্তার ডি-এন মৈত্র ইহার বাসভবনেই ছিলেন । ইনি রিলিফ কাৰ্য্যে সকলেরই চিত্ত আকর্ষণ করিয়াছিলেন। ঐ কাৰ্য্যে অক্লান্ত পরিশ্রম করায় ইনি হিন্দু-মুসলমান সকলেরই কৃতজ্ঞতাভাজন হন। ( ৬ ) ইনি ইহার ৬/ পিতৃদেবের আদেশে আত্রাইয়ে বাঙ্গালীদের মধ্যে প্ৰথমে একটী জুট-প্রেস খোলেন। এখন আত্রাই উত্তরবঙ্গের মধ্যে পাট-ব্যবসায়ের একটা প্ৰধান কেন্দ্ৰ । ( ৭ )। ইনি আত্রাই মার্চ্যাণ্ট এসোসিয়েসনের প্রেসিডেণ্ট এবং স্থানীয় বারোয়ারী-উৎসব ইহারই নায়কত্বে অনুষ্ঠিত হইয়া আসিতেছে । কাশীনাথ দাস ইনি রমানাথ দাস মহাশয়ের পঞ্চম পুত্ৰ । ইহার বয়স বৰ্ত্তমানে ৪৮ বৎসর। বগুড়া জেলার অন্তর্গত পার্বতীপুর-নিবাসী ৬/ ললিতমোহন চৌধুরীর কন্যা শ্ৰীমতী হিরন্ময়ীর সহিত ইহার শুভ পরিণয় হইয়াছে। কাশীনাথ বাবুর চারি পুত্র ও তিন কন্যা। প্রথম পুত্র সুধেন্দ্র ; দ্বিতীয় ধীরেন্দ্র ; তৃতীয় দেবেন্দ্র ও চতুৰ্থ বীরেন্দ্ৰ । কাশীনাথবাবু ৬/ পিতৃদেবের আদেশে বগুড়া জিলার অন্তৰ্গত সন্তাহারে সর্বপ্রথম পাটের কল লইয়া পাটের ব্যবসা আরম্ভ করেন । এখন সাস্তাহারকে উত্তরবঙ্গে পাটের একটি অন্যতম প্ৰসিদ্ধ ব্যবসায়স্থান বলা যাইতে পারে। ইনি ১৩২৫ ও ১৩২৯ সালে উত্তরবঙ্গে যে ভীষণ বন্যা হয় তাহাতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেন এবং বিপন্নদের ঘরে ঘরে যাইয়া অন্ন ও বস্ত্ৰ প্ৰদান করিয়া সকলের শ্রদ্ধা, প্রীতি ও কৃতজ্ঞতার -পাত্ৰ হন । ইনি সান্তাহার মাৰ্চ্যাণ্ট এসোসিয়েসনের প্রেসিডেণ্ট ছিলেন। ইনি সান্তাহারে দুইটী যৌথ ঋণ-দান কোম্পানীর মধ্যে