পাতা:বংশ-পরিচয় (দ্বাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৩৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বৰ্গীয় ত্ৰৈলোক্যনাথ মিত্ৰ ReO ১৮৯৫ সালে ২৬শে এপ্ৰিল তারিখে “ফ্যাকালটি অব লিয়ের* মন্তব্যের সারাংশ নিম্নে দেওয়া হইল “ফ্যাকালিটী অতি দুঃখের সহিত ডাঃ ত্ৰৈলোক্যনাথ মিত্রের আকস্মিক মৃত্যু-সংবাদ পাইয়াছেন। ডাঃ মিত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ উপাধি পাইয়াছিলেন এবং যখনই যে কাজ করিয়াছেন তাহাতেই শ্ৰেষ্ঠত্ব লাভ করিয়াছিলেন । তিনি ফ্যাকালটির অন্যতম শ্ৰেষ্ঠ সদস্য ছিলেন। সিণ্ডিকেটে-তিনি একাধিক বার ফ্যাকালটির প্রতিনিধিত্ব যোগ্যতার সহিত করিয়া ছিলেন । আগামী বৎসরের জন্য তিনি সভাপতি নির্বাচিত হইয়াছিলেন, কিন্তু এই পদ গ্রহণের পূর্বেই তিনি মৃত্যুমুখে পতিত হইলেন। ওকালতিতে তিনি বিশেষ পারদর্শী ছিলেন এবং বিবেকের সহিত আপন কৰ্ত্তব্য সমাধা করিতেন । ঠাকুর আইনের অধ্যাপক রূপে তিনি হিন্দুবিধবা সম্বন্ধে যে বক্তৃতা করিয়াছিলেন, তাহ অত্যন্ত মূলাবান। ফ্যাকালটি তাহার মৃত্যুতে যে অপরিসীম শোক পাইয়াছেন, তাহা বৰ্ণনাতীত।” হাইকোটের উকিল সমিতি ১৮৯৫ খৃষ্টাব্দের ২৪শে এপ্রিল নিম্নলিখিত প্ৰস্তাব গ্ৰহণ করেন “ডাঃ ত্ৰৈলোক্যনাথ মিত্রের মৃত্যুতে এই সমিতি বিশেষ দুঃখিত হইয়াছেন। তিনি একজন প্ৰতিভাবান পণ্ডিত, সুশিক্ষিত ব্যবহারজীব ও কৃতকৰ্ম্মা এডভোকেট ছিলেন। হাইকোর্টের বিচারপতিগণ হইতে উকিলগণ সমভাবে তাঁহাকে ভালবাসিতেন। র্তাহার পূত স্বভাবের জন্য সকলেই তঁাহাকে শ্রদ্ধা-ভক্তি করিত। তিনি একজন খাটি ভদ্রলোক ছিলেন। তঁহার শূন্য স্থান পরিপূর্ণ করা সহজসাধ্য হইবে না।” হুগলী উকিল সভা, শ্ৰীরামপুর মিউনিসিপালিটী এবং অন্যান্য সমিতিসমূহ ঐ রূপ প্ৰস্তাবসমূহ গ্ৰহণ করেন। এ ক্ষেত্রে সেগুলির সবিস্তার উল্লেখ সম্ভবপর নহে।