পাতা:বংশ-পরিচয় (দ্বাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৩৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Rbrbr বংশ-পরিচয় ছিল। ইনি যেমন গুণবতী তেমনই করুণহৃদয়া ছিলেন। লক্ষ্মীকান্ত তাহাকে সুশিক্ষা দ্বারা সম্পূর্ণরূপে যোগ্য করিয়া তুলিয়াছিলেন। পার্বতীর স্বামীর নাম রঘুনাথ পাল। ইহাদের কয়েকটি সন্তান হইয়াছিল, কিন্তু বিধাতার রূপায় কেবল সুখময় রায়ই বাচিয়াছিলেন। ইনিই মাতামহ লক্ষ্মীকান্তের বিপুল ঐশ্বৰ্য্যের উত্তরাধিকারী হইয়াছিলেন। সুখময় রায় মাতামহের ইচ্ছায় ‘মহারাজা বাহাদুর’ উপাধিতে ভূষিত হইয়াছিলেন। সুখময় মহারাজা হইলে তাহার মাতা লোকসমাজে “মহারাজ-মাতা পাৰ্বতী দাসী’’ নামে পরিচিত হন । মহারাজ-মাতা পাৰ্বতী দাসী তাহার উইলে ৪০ হাজার ও ৩০ হাজার টাকা দান করিয়া গিয়াছিলেন। ৪০ হাজার টাকায় কাশীপুর গান ফাউণ্ডী ঘাট এবং তথা হইতে দমদম পয্যন্ত বিস্তৃত রাজপথ নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল ; ৩০ হাজার টাকা দেশীয় হাসপাতাল-সমুহে দেওয়া হইয়াছিল। মহারাজা সুখময় রায় বাহাদুর দয়ার্দ্রহৃদয়, পরোপকারী, দীন-দুঃখীর দুঃখমোচনে মুক্তহস্ত ব্যক্তি ছিলেন । কাহারও দুঃখ-ক্লেশের সংবাদ শুনিলে তিনি অধীর হইয়া উঠিতেন। সকল প্ৰকার জনহিতকর সদনুষ্ঠানেই তিনি মুক্তহস্তে অর্থসাহায্য করিতেন। পুরীধাম হিন্দুর পরম পৱিত্ৰ তীৰ্থ । সেকালে যখন রেল-ষ্টীমার ছিল না। তখন বাঙ্গালা দেশ হইতে পুরীধামে যাইবার কোনও প্রশস্ত একটানা রাস্তা ছিল না । অথচ প্ৰতি বৎসরই বহু যাত্রী পুরীধামে তীর্থ করিতে যাইতেন। বাঙ্গালার ধৰ্ম্মপিপাসু নরনারীগণের এই অসুবিধা দূর করিবার জন্য তিনি বিপুল অর্থব্যয়ে “জগন্নাথ রোড' নামক ২৮০ মাইল রাস্তা তৈয়ারী করিয়া দেন। এই রাস্তা উলুবেড়িয়া হইতে পুরীর শ্ৰীমন্দিরের সিংহদ্বার পৰ্য্যন্ত দীর্ঘ। কেবল রাস্ত নিৰ্ম্মাণ করিয়াই তিনি ক্ষান্ত হন নাই ; পথের নানা স্থানে তিনি ইষ্টক-নিৰ্ম্মিত ১৪টি ধৰ্ম্মশালা নিৰ্ম্মাণ করিয়া দিয়াছিলেন। প্ৰত্যেক ধৰ্ম্মশালাতে প্ৰায় ৫০০ যাত্রী বিশ্রাম করিতে