পাতা:বংশ-পরিচয় (দ্বাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৩৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Voo 8 বংশ-পরিচয় অতিরিক্ত সদস্যরূপে কৰ্ত্তব্য পালন করিতেন। ব্যবস্থাপক সভায় তাহার স্পষ্টবাদিতার পরিচয় দেশবাসী পাইয়াঠেন। তিনি একদিকে যেমন বিপ্লববাদ দমনের জন্য গভর্ণমেণ্টের প্রস্তাবিত নূতন বিধি-ব্যবস্থার সমর্থন করিয়াছিলেন, তেমনই অপরদিকে এই শ্রেণীর আইনের প্রয়োগে যাহাতে নিরপরাধ লোকের উপর অবিচার না। হয় বা তাহাদের কোন ক্ষতি না হয় এবং এই আইনের আমলে আসিয়া যাহাদের ব্যক্তিগত স্বাধীনতা ও অধিকার নষ্ট হইয়াছে তাহাদের উপর নিগ্ৰহ বা দুৰ্য্যবহার না হয় তাহাও গভর্ণমেণ্টকে স্মরণ করাইয়া দিতে তিনি বিস্মৃত হন নাই। তিনি স্বায়ত্তশাসন, সমাজ-সংস্কার এবং দেশের স্বাস্থ্যের উন্নতিবিধায়ক সকল প্ৰস্তাবেরই সমৰ্থন করিয়াছিলেন। দেবেন্ত্রীচন্দ্রের তিন সহোদর ; অন্য দুই ভ্ৰাতার নাম- বীরেন্দ্ৰচন্দ্ৰ ও উমেশচন্দ্র। ইহার ভগিনীর সহিত স্বৰ্গীয় রামদুলাল সরকারের পৌত্র স্বৰ্গীয় অনাথিনাথ দেবের বিবাহ হয়। দেবেন্দ্ৰচন্দ্রের দুই পুত্র ; জ্যেষ্ঠ স্তর চারুচন্দ্ৰ ঘোষ এবং কনিষ্ঠ শ্ৰীযুক্ত ধীরেন্দ্ৰচন্দ্র ঘোষ । চারুচন্দ্র ১৯১৯ খৃষ্টাব্দে জুলাই মাসে কলিকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি নিযুক্ত হইয়াছেন । ১৯৩১ খৃষ্টাব্দের ৫ই আগষ্ট তিনি অস্থায়ীভাবে কলিকাতা হাইকোর্টের প্ৰধান বিচারপতির আসনও গ্রহণ করিয়াছিলেন। বিবিধ সদগুণের জন্য মহামান্য গভর্ণমেণ্ট চারুচন্দ্ৰকে ১৯২৬ খৃষ্টাব্দে “নাইট” উপাধিতে বিভূষিত করিয়াছেন। স্যর চারুচন্দ্ৰ স্বগীয় প্ৰতাপচন্দ্ৰ বসুর কন্যাকে বিৰাহ করিয়াছেন। স্যর চারুচন্দ্রের চারি পুত্র । প্ৰথম পুত্রের নাম রবীন্দ্ৰ, ইনি ব্যারিষ্টার ; দ্বিতীয় পুত্রের নাম দ্বিজেন্দ্ৰ, ইনিও ব্যারিষ্টার ; তৃতীয়ের নাম সত্যেন্ত্র, ইনি বিলাত-ফেরত ইঞ্জিনিয়ার ; চতুথের নাম