পাতা:বংশ-পরিচয় (দ্বাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৩৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বৰ্গীয় হেমেন্দ্ৰনাথ সেন V) OS বৈকুণ্ঠনাথের গৌরব-অর্থের সদ্ব্যয়ে। হেমেন্দ্রনাথ সর্বতোভাবে অগ্রজ বৈকুণ্ঠনাথের এই মহৎ আদর্শের অনুসরণ করিতেন। গ্রামের প্রতি হেমেন্দ্রনাথের অনন্যসাধারণ অনুরাগ ছিল। প্ৰতি বৎসর শ্ৰীশ্ৰীশারদীয় পূজার সময়ে তিনি সপরিবারে আলমপুরে যাইতেন এবং গ্রামবাসীদিগের সহিত পূজার উৎসব ও আনন্দ উপভোগ করিতেন। সেই সময়ে গ্রামের বহু দরিদ্র ও অভাবগ্ৰস্তকে তিনি বস্ত্ৰাদি প্ৰদান করিতেন । গ্রামের যাত্রা, কবি, কথকতা প্ৰভৃতির তিনি পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। এইসকল বিষয়ে তিনি তঁহার অগ্রজ বৈকুণ্ঠনাথের সবিশেষ সহানুভূতি লাভ করিয়াছিলেন । হেমেন্দ্ৰনাথ বলিতেন - বৈদ্য বঙ্গদেশের অন্যতম প্ৰধান জাতি । বৈদ্যজাতিকে “বৈদ্য ব্ৰাহ্মণে” পরিণত কবিবার জন্য সম্প্রতি যে একটি মতবাদের সৃষ্টি হইয়াছে হেমেন্দ্ৰনাথ তাহার বিরোধী ছিলেন । তিনি বলিতেন, - বৈদ্যজাতির সন্ত্রম ও প্ৰতিষ্ঠা বঙ্গদেশে যাহা আছে তাহাই উহার পক্ষে পৰ্য্যাপ্ত ।। যতদিন বৈদ্যজাতি শিক্ষায় পশ্চাৎপদ না হইবে, যতদিন বৈদ্যজাতি স্বদেশের কল্যাণ-সাধনে সচেষ্ট থাকিবে ততদিন তাহার গৌরব মান হইবে না। অগ্রজ বৈকুণ্ঠনাথ রাজনীতি-চৰ্চা করিতেন এবং কংগ্রেসের সেবক ছিলেন । তঁহাকে সেবক বলিলে ঠিক বলা হয় না- তিনি কংগ্রেসের অন্যতম ধারক ও বাহক ছিলেন । হেমেন্দ্রনাথ অগ্রজের নিকট হইতেই স্বদেশ-সেবার এই আদর্শ গ্ৰহণ করিয়াছিলেন । তিনিও রাজনীতিচর্চা করিতেন এবং কংগ্রেসের সেবক ছিলেন । ভারতের যেখানেই ংগ্রেসের অধিবেশন হইত। তিনি তঁাহার অগ্রজের সহিত সেই অধিবেশনে যোগদান করিতেন। বৈকুণ্ঠনাথ কংগ্রেসের জন্য অকাতরে অর্থব্যয় করিয়া গিয়াছেন এবং তঁহারই আমন্ত্রণে তিনবার বহরমপুরে ৰঙ্গীয় প্ৰাদেশিক সম্মিলনের অধিবেশন হইয়াছিল। বঙ্গীয় প্ৰাদেশিক