পাতা:বংশ-পরিচয় (দ্বাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৪০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বগীয় হেমেন্দ্ৰনাথ সেন VOS (t এটণী সম্প্রদায়ের পক্ষ হইতে স্যার দেবপ্ৰসাদ সর্বাধিকারী মহাশয় বলেন-হেমেন্দ্ৰনাথ আমার বন্ধু ছিলেন ; যাহাদের সহিতই তাহার পরিচয় ছিল তিনি তাহদেরই বন্ধু ছিলেন। তিনি প্ৰসিদ্ধ ও পারদর্শী উকীল ছিলেন ; কিন্তু তদ্ব্যতীত তিনি শিল্প-প্ৰতিষ্ঠায় অক্ষয়কীৰ্ত্তি অর্জন করিয়া গিয়াছেন এবং ইহা বিস্মৃত হইলে চলিবে না যে, কংগ্রেসের গোড়াকার আমলে তিনি তাহার স্বদেশকে রাজনৈতিক উন্নতির পথে অগ্রসর করিবার জন্য যথেষ্ট চেষ্টা করিয়াছেন। মান্যবার বিচারপতি চারুচন্দ্ৰ ঘোষ মহাশয় বলেন - আমি বলিতে পারি না - আজ প্ৰত্যুষ পাচটার সময়ে আমি কিরূপ গভীর দুঃখের সহিত এই বিচারমন্দিরের সুপ্ৰসিদ্ধ ও অতীব সম্মানভাজন ব্যবহারাজীব হেমেন্দ্ৰনাথ সেন মহাশয়ের মৃত্যু-সমাচার শ্রবণ করিয়াছি। গত রবিবারে তিনি আমার বাড়ীতে আসিয়াছিলেন , তখন আমি স্বপ্নেও ভাবি নাই যে, পর সপ্তাহের প্রারম্ভেই আমাকে এই শোচনীয় সংবাদ শ্রবণ করিতে হইবে। তঁহার মৃত্যু আকস্মিক বলিয়াই অধিকতর শোকাবহ হইয়াছে। আমি তঁহাকে ভালরূপই জানিতাম ; কারণ র্তাহার সহিত আমার পরিচয় ৩৫ বৎসরের। এই সুদীর্ঘ কাল আমি তঁাহার বন্ধুত্ব উপভোগ করিয়াছি। ব্যবহারাজীব সমাজের তিনি যে একজন অলঙ্কার স্বরূপ ছিলেন এবং ড্রাহার সতীর্থগণের প্রতিভাজন ছিলেন, ইহা বলা আমার পক্ষে নিম্প্রয়োজন । হাইকোটে আসিবার পূর্বে বহরমপুরে তঁহার পশার ভালই ছিল এবং সেখানেও তিনি যথেষ্ট উপাৰ্জন করিতেন । হাইকোটে কিছুকাল পরেইআমার বিশ্বাস সম্ভবতঃ ১৯০৩ সালে -তিনি যে খুব পশার করিয়াছেন ইহা বেশ বুঝিতে পারা গিয়াছিল। কলিকাতা হাইকোর্টের উকীলগণের সুযশঃ তিনি উজ্জল রাখিয়া গিয়াছেন এবং এই বিষয়ে তিনি তাহার অগ্রজ স্বৰ্গীয় রায় বৈকুণ্ঠনাথ সেন বাহাদুরের আদৰ্শই গ্ৰহণ