পাতা:বংশ-পরিচয় (দ্বাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৪১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্যর আব্দেল কেরিম গজনবী \ R ) পরিচালন করিয়াছিলেন । প্ৰায় চারি শতাব্দী ধরিয়া আফগানি-রাজগণের প্ৰভুত্ব বঙ্গদেশে বিদ্যমান ছিল। বাখতিয়ার ঘিলাজাই হইতে আরম্ভ করিয়া শেষ আফগান নৃপতি পৰ্য্যন্ত প্ৰত্যেকেই এক একটি জিলা বা পরগণা মনোনীত করিয়া লাইতেন ; সেই জিলায় বা পরগণায় তাহার। থাকিতেন এবং উহাই হইত। তাহদের প্রত্যেকের খাস রাজ্য । অন্যান্য ক্ষুদ্র পরগণা তাহার। প্তাহাদের অধীন কৰ্ম্মচাৰী দিগকে জায়গীর-স্বরূপ দান করিতেন ; যথা --উজার বেতন পাইতেন না, তাহার বদলে একটি পরগণা জায়গীরস্বরূপ পাইতেন ; সেনাপতির ও বেতন ছিল না - উহার পরিবর্তে তঁহাকে জায়গীর দেওয়া হইত। উজীর, সেনাপতি প্ৰভৃতি আবার তাহাদের অধীন কৰ্ম্মচারীদিগকে তঁ হাদের অধীন পরগণা হইতে দুই একখানা গ্রানি জায়গীর স্বরূপ প্ৰদান করিতেন । এইরূপে জায়গীর-প্রথায় দেশের শাসনকাব্য; ১লিত। বাঙ্গালার আফগান রাজগণের এই শাসন-পদ্ধতি অনেকটা ইউরোপের ফিউড্যালি-(Feudal) পদ্ধতির মত । মখন আকবর বাদাসান্দ্রের সেনাপতি বঙ্গদেশ অধিকার করিতে আসেন, সেই সময়ে বাঙ্গালা দেশের সর্বত্র বহু আফগান জায়গীরদার বিরাজ করিতেছিলেন । তাহার। প্ৰত্যেকেই আকবরের সেনাপতির সহিত এরূপ যুদ্ধ করিয়াছিলেন যে, তাহাদিগকে সহজে পরাজিত করিতে পারা যায় নাই। পরে দীর্ঘকালব্যাপী ভীষণ যুদ্ধের পর তাহারা আকবরের সেনাপতির হস্তে পরাজিত হইয়াছিলেন । এইসকল আফগান নৃপতির মধ্যে মাসুম খান কাবুলি, কতলু খান এবং ওসমান খান লোহানির নাম উল্লেখযোগ্য । ১৫৮৯ খৃষ্টাব্দে সমাট আকবর রাজা মানসিংহকে বাঙ্গালা ও বিহারের শাসনকৰ্ত্তা নিযুক্ত করেন। এই সময়ে পাটনার মোগল-বাহিনীর