পাতা:বংশ-পরিচয় (দ্বাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৪১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্যর অ'ব্দেল কেরিম গাজ নবী \oЗ\So আফগানগণ এক্ষণে মোগলদিগের অপেক্ষা দুর্বল, সেইহেতু আফগানগণের উচিত-জোতৃ মোগলদিগের সহিত সম্মিলিত হওয়া এবং ভঁহাদের বুঝা উচিত যে, বিধাতার ইচ্ছায়ই জাতিসকলের উত্থান ও পতন হইয়া থাকে। ছয়শত বৎসর কাল আফগানগণ হিন্দুস্থানে একাধিপত্য করিয়াছে ; কিন্তু এক্ষণে ভাগ্যচক্রের পরিবাৰ্ত্তন ঘটিয়াছে । রাজদণ্ড এখন আফগানদের হাত হইতে মোগলদের হাতে পড়িয়াছে । সুতরাং বিধাতার ইঙ্গিত বুঝিয়া মোগলদের অধীনতা স্বীকার করা আফগানগণের উচিত। যদি অন্য কোনও জাতিকে ইসলাম খান এ কথা বলিতেন, তাহা হইলে তাহার ফল হইত। কিন্তু যেহেতু বৰ্ত্তমান সময়ে আফগানগণ তরবারি ফেলিয়। কখনও কৃষিকাৰ্য্যে প্ৰবৃত্ত হইতে ইচ্ছক নহে, এবং যেহেতু উপরোক্ত বহু দলের বংশধরগণ – যাহারা পূর্বে বঙ্গদেশে বসবাস স্থাপন করিয়াছিল। তাহদের মধ্যে একজনও ভূমিকৰ্ষণে সম্মত নহে, সেইহেতু দূতের কথা ব্যর্থ হইল। উদ্ধত ওসমান খান ২০ হাজার আফগানের নেতা ছিলেন । তিনি এই শক্তি লইয়া নিজেকে দ্বিতীয় আলেকজাণ্ডার মনে করিতেন এবং যুদ্ধ ও স্বাধীনতা ব্যতীত তিনি আর কিছুই কামনা করিতেন না। দূত-প্রেরণ নিৰ্ম্মফল হওয়ার বাঙ্গালার শাসনকৰ্ত্তা সেনাপতি সুজাতালি খানকে সসৈন্যে আফগান সর্দারের বিরুদ্ধে পাঠাইয়া দেন। ১৬১২ খৃষ্টাব্দে ২রা মার্চ ঢাকা হইতে ১০০ ক্রোশ দূরে সবকার বাজুহার অন্তঃপাতী নেকুঝাইল নামক স্থানে সুজাতালির সৈন্যগণের সহিত ওসমান খানের অধীন আফগান সেনাদলের যুদ্ধ আরম্ভ হয়। সরকার-ই-বাজুহাই। বৰ্ত্তমান ময়মনসিংহ জেলা ৭ যুদ্ধে ওসমান খানই জয়লাভ করিতেছিলেন, কিন্তু হঠাৎ একটি গুলি তঁহার কপালে মারাত্মকরূপে বিদ্ধ হওয়ায় তিনি যুদ্ধক্ষেত্র ত্যাগ করিতে বাধ্য হন । আফগানগণ যখন দেখিল যে, তাহাদের সদরের হাতী - সর্দারকে লইয়া পলায়ন করিতেছে তখন