পাতা:বংশ-পরিচয় (দ্বাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৪৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্যর আব্দেল কেরিম গাজনবী V8 v) বৈঠকে ( ১৯২১-১৯২৩ খৃষ্টাব্দে ) ব্যবস্থাপক সভা ভাঙ্গিবার তেমন কোনও চেষ্টা হয় নাই। তবে শ্ৰীযুক্ত সুরেন্দ্ৰনাথ মল্লিকের ( ভারতসচিবের মন্ত্রণা-পরিষদের ভূতপূৰ্ব্ব সদস্য ) নেতৃত্বে কতিপয় সদস্য ব্যবস্থাপক সভা ভাঙ্গিবার চেষ্টা করিয়াছিলেন । উক্ত ব্যৰস্থাপক সভার দ্বিতীয় বৈঠক ১৯২৩ খৃষ্টাব্দে ঢাকা সহরে স্বম্ভর গাজ নবীর সহিত বাঙ্গালার গবর্ণর লর্ড লিটনের সাক্ষাৎ হয় । তাহার ফলে স্থার গাজনৰী বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভার সদস্য হইবার জন্য নির্বাচন-যুদ্ধে অবতীর্ণ হইতে সম্মত হন। পরে তিনি নির্বাচন-যুদ্ধে অবতীর্ণ ও হইয়াছিলেন এবং প্রতিদ্বন্দ্বী অপেক্ষা প্ৰায় ৪০ ০০ ভোট অধিক পাইয়া নির্বাচিত হইয়াছিলেন । এই সময়ে পরলোকগত সি-আর দাশ মহাশয় স্বরাজ্যদল গঠন করেন এবং কংগ্রেস হইতে এই মৰ্ম্মে অনুজ্ঞ। গ্ৰহণ করেন যে, স্বরাজ্যদল আমলাতন্ত্রেব বৃহের মধ্যে প্রবেশ করিয়া গবৰ্ণমেণ্টের কাৰ্য্যে বাধা দিবার উদ্দেশ্যে ব্যবস্থাপক সভায় সদস্যরূপে প্ৰবেশ করিতে পরিবে । কংগ্রেসের যে অধিবেশনে এই অনুজ্ঞা প্ৰদত্ত হয় সেই অধিবেশনের সভাপতিও ছিলেন সি-আর দাশ মহাশয় । তিনি স্বরাজ্য দলের প্রচাব-কায্য এরূপ সাফল্যের সহিত পরিচালিত করেন যে, নির্বাচন-যুদ্ধে স্বরাজা দলের প্ৰায় সকল সদস্যপদপ্রার্থীই নির্বাচিত হইয়াছিলেন । হিন্দু-মুসলমানে সম্মিলিতভাবে যাহাতে কাৰ্য্য করিতে পারে - এই উদ্দেশ্যে দাশ মহাশয় ১৯১০ খৃষ্টাব্দে মুসলমানগণের সহিত একটি আপোষ-সৰ্ত্ত করেন । তাহা “বেঙ্গল প্যাকট” নামে বিখ্যাত । এই আপোষ-সৰ্ত্তের ফলে বহু মুসলমান স্বরাজ্যদলভুক্ত হন। ইহাদিগকে লইয়। পরে ব্যবস্থাপক সভার স্বরাজী সদস্যসংখ্যা ৫০ এর উপর দাড়াইয়াছিল। এইরূপ শক্তিশালী দল যে মন্ত্রিমণ্ডল ভাঙ্গিয়া দিতে পারে সে বিষয়ে সন্দেহ নাই ।