পাতা:বংশ-পরিচয় (দ্বাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৪৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্তর আব্দেল কেরিম গাজনবী V8 করিবার পূর্বে প্রতিনিধিমূলক ব্যবস্থাপক সভা দ্বারা কিরূপে শাসনকাৰ্য্য চালাইতে হয় তাহা আমাদের শিক্ষা করা উচিত এবং ইহাই যে প্ৰকৃত রাজনীতিসম্মত কাৰ্য্য সে বিষয়ে সন্দেহ নাই । কারণ, এ সম্বন্ধে আমাদের কোন ও রূপ পূর্ব-অভিজ্ঞতা নাই । আমাদের মত দেশে অল্পে অল্পে অর্থাৎ দফায় দফায় দায়িত্বমূলক শাসনাধিকার প্রদান করা উচিত । এক দফা যাহা দেওয়া হইল। তদনুসারে দেশের শাসনকাৰ্য্য নিৰ্বাহ করিতে দেশের লোক শিক্ষা করিল। এক দফার শিক্ষা শেষ হইল, তখন তদুপরি আবার এক দফা শাসনাধিকার দেওয়া হইল । ইহাও দেশবাসী শিখিয়া লইল । পূর্ণ দায়িত্বমূলক শাসন-পদ্ধতি এইরূপ ক্ৰম আন্তসারে অথাৎ এক এক ক্ৰম করি যা দেওয়া উচিত । কারণ, এই দেশের শাসন-ব্যাপারে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের বহু বিভিন্নরূপ স্বার্থ সন্নিহিত আছে ।” ১৯২৫ খৃষ্টাব্দের মাৰ্চ মাসে ব্যবস্থাপক সভায় মন্ত্রিগণের বেতন বরাদ হইবার পর আবার এক মন্ত্রিমণ্ডল গঠনের চেষ্টা হয়। এবারকার মন্ত্রিমণ্ডল নবাব বাহাদুবি নবাব আলি চৌধুরী ও সন্তোষেব রাজাকে লইয়া গঠিত হয়। নয় দিন পবে মিঃ সি-আর দাশ মহাশয়ের নেতৃত্বে স্বরাজ্যদল এই মন্ত্রিমণ্ডল ভাঙ্গিয়া দিয়াছিলেন। এবারে মিঃ ফজলুল হক মন্ত্রিমণ্ডল ধ্বংস করিতে সাহায্য করিয়াছিলেন । ইহার পর ১৯২৭ সালের জানুয়ারী মাস পৰ্য্যন্ত বাঙ্গালা দেশে দ্বৈত-শাসন-পদ্ধতি বন্ধ রাপিতে হইয়াছিল। লাট-প্রাসাদে কনফারেন্স বাঙ্গালার শাসন-পরিষদের সদস্যপদ হইতে অবসর গ্রহণ এবং ত্ৰিশ বৎসর বা তদূৰ্দ্ধকাল সরকারের অধীনে কৰ্ম্ম করিবার পর স্যর আবদার রহিম আলিগড়ে এক বক্ততা করেন এবং সেই বক্ততার ফলে