পাতা:বংশ-পরিচয় (দ্বাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৪৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\8 by বংশ-পরিচয় তিনি চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই মুসলমান সম্প্রদায়ের নেতা হইয় উঠেন । ১৯২৬ খৃষ্টাব্দের এপ্রিল মাস হইতে বঙ্গদেশ, বিশেষতঃ কলিকাতা সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ও হাঙ্গামার লীলাভূমি হইয়া পড়ে। ১৯২৬ খৃষ্টাব্দের ৬ই মে তারিখে লর্ড লিটন লাট-প্রাসাদে হিন্দু ও মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের নেতৃবৰ্গকে এক পরামর্শ-সভায় আহবান করেন । মুসলমানগণেব পক্ষে আমন্ত্রিত হইয়াছিলেন-স্যর আবদার রহিম ও স্তর গাজনিবা এবং হিন্দুগণের পক্ষে আমন্ত্রিত হইয়াছিলেন। মিঃ বি চক্ৰবৰ্ত্তী, বদ্ধমানের মহারাজাধিরাজ বাহাদুর, এটণী মিঃ জে-এন বসু ও অন্যান্য ব্যক্তিগণ । শিখদিগের শোভাযাত্ৰ। শীঘ্রই বাহির হইবে, তৎসম্বন্ধে উভয়পক্ষে একটি। মামাংসা করা এবং মসজিদের সম্মুখে বাজন। ব{জাঈ বার সঙ্গন্ধে তা পোষ করা-এই উভয় উদ্দেশ্যেই পরামর্শ-সভা আহুত হইয়াছিল। কিন্তু মামাংসাব চেষ্টা সফল হয় নাই । মুসলমানগণের প্রতিনিধিগণ যদি ও শিখশোভাযাত্ৰ-সম্পর্কে গবৰ্ণমেণ্টের নিদ্ধারণ-সম্বন্ধে আপন[দিগকে তফাতে রাখিয়াছিলেন, তথাপি তাঙ্গার। তাহাদের স্ব জাতীয়গণের উদ্দেশে এক ইস্তাহার বা নিবেদনপত্র প্রচার করিয়াছিলেন , উঠাতে তাহার। শিখ - শোভাযাত্ৰা-উপলক্ষে মুসলমানগণকে সম্পূর্ণরূপে শান্ত-সংঘাত হুইয়। থাকিতে উপদেশ দিয়াছিলেন । লর্ড লিটন আর একটী কনফারেন্স বা পরামর্শ-সভার আহবান করিয়াছিলেন। ইহাতে যোগ দিবার জন্য স্যর গজনবী নিমন্ত্রিত হইয়াছিলেন ; কিন্তু ইহাতেও কোনও রূপ মীমাংসা হয় নাই । অতঃপর স্যর গজনবী প্ৰভূত ত্যাগ স্বীকার করিয়া মুসলমান সম্প্রদায়ের পক্ষে বহু প্ৰমাণ সংগ্রহ করেন এবং স্বয়ং ঐ গুলি লইয়া গিয়।। দাৰ্জিলিঙ্গে লর্ড লিটনের হস্তে প্ৰদান করেন । টাউন হলের সভায় সভাপতি সেই সময়ে বাঙ্গালী সরকার মসজিদের সম্মুখে বাজনার সম্বন্ধে যে