পাতা:বংশ-পরিচয় (দ্বাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৪৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Wo ৰংশ-পরিচয় সদস্যকে লইয়া একটী দল করেন। স্যর গজনবী বিভিন্ন মুসলমাননির্বাচন কেন্দ্ৰ হইতে বিভিন্ন মুসলমান সদস্য প্রার্থীকে নিৰ্বাচন-ক্ষেত্রে দাড় করাইয়াছিলেন । নির্বাচন শেষ হইয় গেলে দেখা গেল, কেবল যে স্যার গাজ নবী প্রতিপক্ষ অপেক্ষা বহুসংখ্যক ভোট অধিক পাইয়া নির্বাচিত হইয়াছেন তাহা নহে, তাকার গঠিত মুসলমান দলেব প্ৰায় সকল সদস্যপদ প্রার্থই ভোটের অধিক্যে নির্বাচন-যুদ্ধে জয়লাভ করিয়াছেন । বড়লাটের সািহত প্ৰতিনিধি-সঙ্ঘা লইয়া সাক্ষাৎ ১৯২৬ খ্ৰীষ্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে বড় লাট লর্ড আরউইন প্ৰথমবার কলিকাতা পরিদর্শন করিয়াছিলেন । সেই সমযে বঙ্গায় মুসলমান সমাজের পক্ষ হইতে সেণ্টাল ন্যাশন্যাল মেহমেডান এসোসিয়েসন বড়লাট বাহাদুরকে এক অভিনন্দনপত্ৰ প্ৰদান করেন। এ সোসিয়েসনের প্ৰতিনিধিগণ এসোসিয়েসনের সভাপতি স্যার গাজ নবীর নেতৃত্বে বড়লাটের সকাশে গমন করিয়াছিলেন । সাক্ষাৎকারিগণের মধ্যে বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভার বহু মুসলমান সদস্য ছিলেন - র্যাহার। স্যার গাজ নবীর দলভুক্ত । যখন বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভাৰ ডেপুটী প্রেসিডেণ্ট-পদে স্যর গজনবীর ব্যবস্থাপক সভার মুসলমান সদস্যদলের জেনারেল সেক্রেটারী খাঁ বাহাদুর এমাদুদ্দীনকে নিযুক্ত করা হয়, তখন স্যর গজনবীর দলের শক্তি ও প্রভাবের প্রভূত পরিচয় পাওয়া গিয়াছিল। এই বিযয় বাঙ্গালা সরকার অবগত ছিলেন । তাহা সত্ত্বেও তঁাহারা ভুল করিয়া ফেলিলেন এবং স্যার আবদার রহিমকে ডাকিয়া পঠাইয়া মন্ত্রিমণ্ডল গঠন করিতে বলিলেন । কিন্তু তিনি কয়েকদিন মাত্র মন্ত্রীর আসনে বসিয়া তাহার এক হিন্দু সতীর্থের অনুসন্ধান করিতে লাগিলেন, কিন্তু কোনও হিন্দুই তাহার সহিত কাৰ্য্য করিতে চাহিলেন না । তখন গবৰ্ণর, স্যার আবদার