পাতা:বংশ-পরিচয় (দ্বাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৪৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বৰ্গীয় দীননাথ দাস <つ の《 লাগিলেন। অবশ্য সকল ভ্ৰাতাকে লইয়াই তিনি এই কাৰ্য্য করিতেন । কিন্তু এই ব্যাপারে এক্ষণে একটা ব্যাঘাত ঘটিল। দীননাথের কনিষ্ঠ ভ্ৰাতা নারায়ণদাস উচ্ছ জ্বল ও ভোগবিলাসী হইয়া পড়িলেন। তিনি কাজকৰ্ম্ম দেখিতেন না। কাজেই অল্পদিনেব মধ্যেই নারায়ণদাস প্ৰায় ৫০ ॥৬০ হাজার টাকা উড়াইয়া দেন । দীননাথ বহুবােব নাবাযণদাসকে সতর্ক করিয়া দিয়াছিলেন, এইরূপ অধঃপতনেব পাপে চলিতে নিষেধ কবিয়াছিলেন, কিন্তু তিনি তাহাতে কৰ্ণপাত করেন। সাষ্ট । দীননাথ নানারূপ সদুপদেশ দিয়াছিলেন এবং অনেক রকমেই র্তাহকৈ নিবৃত্ত করিতে প্ৰয়াসী হইয়াছিলেন, কিন্তু তিনি কিছুতেই এ সকল গ্রাহা করিলেন না । দীননাথ আর কি করিবেন ? সকল ভ্রাতাকে ডাকাইয়| একত্ৰ করিলেন এবং বলিলেন- অমর। একান্নবিত্তী হইয়া সকলে এক সংসারে আছি ; কিন্তু নারায়ণ যেভাবে পৈতৃক সম্পত্তি নষ্ট করিতে আরম্ভ করিয়াছে, তাহাতে বেশ বুঝিতে পারিতেছি, আমাদের সকলকেই ২॥১ বৎসরের মধ্যে পথে বসিতে হইবে । সুতরাং বিষয়-সম্পত্তি রক্ষাবি জন্য তোমরা সকলে পৃথক হও, নাহিলে আর রক্ষা নাই । ইহা ১২৯৬ সালের কথা । এই কথা বলিবার সময়ে দীননাথের চক্ষু দিয়া দরদর-ধারে অশ্রণ বিগলিত হইতেছিল। ভ্রাতাদিগকে তিনি প্ৰাণের তুল্য ভালবাসিতেন। তাহাদিগকে পরস্পর পৃথক করিয়া দিতে তিনি অত্যন্ত বেদন বোধ করিয়াছিলেন । কিন্তু ভ্ৰাতৃগণ যখন বুঝিলেন যে, পৃথক হওয়া ব্যতীত অপর উপায় কিছুই নাই, তখন অগত্য। তাহারা পৃথক হইলেন। সকলেই পৈতৃক সম্পত্তি যথাযথভাবে বণ্টন করিয়া লইলেন। গুরুপ্ৰসন্ন নাবালক ছিল, তাই ার সম্পত্তি-রক্ষার আইনসঙ্গত ব্যবস্থা হইল ।