পাতা:বংশ-পরিচয় (দ্বাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SR 8 est-sifs: হইলেও তিনি তাহার ভ্রাতুষ্পপুত্ৰগণের প্রতি যেমন পুত্ৰ নির্বিশেষে ব্যাবহার করিতেন, পত্নী দিগম্বরী দেবীও তেমনি তঁহাদিগকে ততোধিক স্নেহেরু ও যত্নে লালন-পালন করিতেন । এখন দেখা যাইতেছে যে, দেবীপ্ৰসাদের পুত্ৰ কাৰ্ত্তিকচন্দ্ৰ হইতেই উপস্থিত বড়ার মুখোপাধ্যায়-বংশ ক্রমশঃ বিস্তুতি “লাভ করিয়াছে । কাৰ্ত্তিক চন্দ্রের চারি পুত্র-নবীন, মধুসুদন, যদুনাথ ও কেদারনাথ অল্প বয়সে ইহাদের মাতৃবিয়োগ হওয়াতে এই চারি ভ্রাতা ও এক ভগিনী চঞ্চল দেবী। খুল্লতাত-পত্নী দিগম্বরীর নিকট প্রতিপালিত হইয়াছিলেন । ইহাদের বিবাহের পর সকলেই পৃথকভাবে সংসারযাত্র। নির্বাহ করেন । কাৰ্ত্তিকচন্দ্রের জ্যেষ্ঠপুত্র নবীনচন্দ্র পরম নিষ্ঠাবান ব্ৰাহ্মণ ছিলেন। ইনি বিবাহের পর শ্বশুরালয়ের ভূসম্পত্তি পাইয়া বৈদ্যাবাটী গ্রামে যাইয়। বাস করেন। তঁহার দুই পুত্ৰ নেপালচন্দ্র এবং হারাণচন্দ্ৰ উভয়েই অপুত্ৰক অবস্থায় জীবনলীলা শেষ করেন। নবীনচন্দ্ৰ। ১৮৮৩ খৃষ্টাব্দের জানুয়ারী মাসে সজ্ঞানে গঙ্গালাভ করেন । কাৰ্ত্তিকচন্দ্রের দ্বিতীয় পুত্ৰ মধুসুদন অবস্থার দুৰ্ব্বিপাকেই হউক অথবা স্বতঃপ্ৰবৃত্ত হইয়াই হউক, জীবনে বিশেষ সুখ-শান্তি ও আনন্দের মুখ দেখেন নাই । তিনি এই বড় গ্রামে জমীদারী সেরেস্তায় সামান্য বেতনের কৰ্ম্ম করিয়া যাহা কিছু উপাৰ্জন করিতেন তন্দ্বারা অতি কষ্টে সংসারযাত্ৰা নির্বাহ করিতেন। মধুসুদন পরম ধাৰ্ম্মিক, সদাসন্তুষ্টচিত্ত এবং শুচিপরায়ণ লোক ছিলেন । তঁহার বিনয়ে, অমায়িকতায় এবং সদ্ব্যবহারে আবালবৃদ্ধবনিতা সকলেই আপ্যায়িত এবং আনন্দিত হইত। যখন তিনি খুল্লতাত-পত্নীর সংসারে ছিলেন তখন কখনও ঠিকমত সময়ে মপ্যাহ্ব-ভোজন করিতেন না, প্ৰত্যহই অতিৰ্গি-অভ্যাগতদের প্রতীক্ষায় থাকিয়া পরে আহার করিতেন । যদি কোন দিন অতিথির সংখ্যা বেশী