পাতা:বংশ-পরিচয় (দ্বাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৫৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

898 বংশ-পরিচয় রাজস্ব ব্ৰিগ সাহেব প্ৰণীত ফিরিস্তির প্রথম খণ্ডের ৩৭৪ পৃষ্ঠায় আমরা দেখিতে পাই যে, সম্রাট আলাউদ্দীনের সময়ে উৎপন্ন শস্তের অর্ধেক প্ৰজার বাৎসরিক রাজস্বরূপে নিৰ্দ্ধারিত ছিল । সম্রাট আকবরের সময়ে ভূমির কর-সম্বন্ধীয় নিয়মাবলীর পুনসংস্কার করা হয়। ১৫৭১ খৃষ্টাবেজ জরীপপ্ৰথা সর্বপ্রথম ভারতবর্ষে প্ৰচলিত হয় । এই সময়ে কৃষকগণকেই ভূমির এক মাত্র মালিক বলিয়া স্বীকার করা হইত এবং রাজা ও প্ৰজার ভিতর তৎকালে জোতদার বা তালুকদার-শ্রেণীর লোকের স্থান মোটেই ছিল না । মোগল সাম্রাজ্যের শেষভাগে এই জোতদার ও তালুকদার-শ্রেণীর লোকের প্রথম আভু্যদয় ঘটে এবং তাহাদের রক্ষণের নিমিত্ত ভূমির উপর আবায় নানাপ্রকার নূতন কর নিৰ্দ্ধারিত হয়, যথা-নজরাণা মোকররী, জায় মাখাট, মাথষ্ট ফিলথানা, আবওয়াব ফৌজদারী ইত্যাদি । এই বিভিন্ন প্ৰকার কর হইতে নবাব সুজা খাঁ বৎসরে প্রায় ৪২ লক্ষ টাকা রাজস্ব আদায় করিতেন । নবাব আলীবাদি খ্যার সময়ে প্ৰজার উপর চৌথ মারাঠা, আহুক ও নজরাণমনসুরগঞ্জ নামক আরও তিনটী নূতন করের পত্তন করা হয় এবং বলা বাহুল্য, এই নব-নিৰ্দ্ধারিত করা হইতে রাজ-সরকারের বাৎসরিক আয় প্ৰায় ২২ লক্ষ টাকার উপর বৃদ্ধিপ্ৰাপ্ত হয়। নবাব মীরকাশিম আবার নুতন করিয়া আরও চারি রকম কর। প্ৰজাদিগের উপর ধাৰ্য্য করেন এবং তদ্বারা প্ৰায় ২ কোটী ৫৬ লক্ষ টাকা অতিরিক্ত বাৎসরিক রাজস্ব আদায় হইতে থাকে। সম্রাটগণ যেমন কোনও প্রকার সুখসুবিধার দিকে লক্ষ্য না রাখিয়া বিবিধ প্ৰকার কর ধাৰ্য। করিয়া জমিদার ও তালুকদারগণের নিকট হইতে অহোরাত্র কেবল অথর্বশোষণে ব্যাপৃত থাকিতেন, জমীদার ও তালুকদারগণও তাদৃশ তাহদের প্রজাদের উপর N