পাতা:বংশ-পরিচয় (দ্বাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৫৮৭

ডাক্তার যতীন্দ্ৰনাথ মৈত্র 3 R 2 ment Questionএর সমাধান আজ দেশের একটী প্ৰধান সমস্যায় পরিগণিত হইয়াছে এবং বহু উচ্চশিক্ষিত ব্যক্তি আজ বেকার বসিয়া আছেন । ইহাতে আমি বাস্তবিকই নিরতিশয় লজ্জা অনুভব করিয়া থাকি। ২০২৫ জন শিক্ষিত যুবক একমানপ্ৰাণ হইয়া অনায়াসেই বিদ্যালয় স্থাপন করিতে পারেন এবং ছাত্র-বেতন হইতে র্তাহারা যাহা সঙ্গত সেই পরিমাণে পারিশ্রমিক লইয়া আপনাদের গ্ৰাসাচ্ছাদিন চালাইতে পারেন। এইরূপ হইলে দেশের ভিতর শিক্ষা-বিস্তারের একটা পন্থাও ক্রমশঃ সুগম হইয়া উঠে এবং শিক্ষিত বেকার ভদ্রলোকদিগেরও অন্নসমস্যার একটী সমাধান হয় । তাহারা মনপ্ৰাণ দিয়া যদি বালকবালিকাগণের শিক্ষার ভার গ্রহণ করেন তাহা হইলে তাহাদের শিক্ষাও ভাল হইবে এবং তঁহাদেরও আর্থিক উন্নতি অবশ্যম্ভাবী। প্ৰকৃত শিক্ষায় যে উদ্ভাবনী শক্তি নিহিত থাকে চিন্তাশীল শিক্ষিত ব্যক্তির নিকট সেই উদ্ভাবনী শক্তির বিকাশ আমি কি আশা করিতে পারি না ? আজকাল আমরা প্ৰায়ই শুনিতে পাই যে আমাদের দেশে জাগয়ণের সাড়া পড়িয়াছে । যদি তাহা সত্য হয় তাহা হইলে তাহা যে অত্যন্ত সুখের বিষয় সে সম্বন্ধে কিঞ্চিম্মাত্ৰ সন্দেহ নাই। এক্ষণে আমার জিজ্ঞাস্য এই যে বৰ্ত্তমানে আমাদের দেশের ভিতর যে জাগরণের সাড়া পড়িয়াছে, এই জাগরণ সুনিদ্রার পরে জাগরণ-না অনিদ্রা বা স্বল্পনিদ্রার পরে জাগরণ ? আমরা দেখিয়া থাকি যে সুনিদ্রার পরে জাগরণে মন স্বভাবতঃ প্ৰফুল্ল হয়, মস্তিষ্ক স্নিগ্ধ হয়, দেহে বলসঞ্চার হয় এবং জ্ঞানবিকাশের পস্থা সুগম হয়-আর অনিদ্রা বা স্বল্প নিদ্রার পরের আকস্মিক জাগরণ দেহে বলহীনতার, মস্তিষ্কদুর্বলতার, মানসিক বিষন্নতার ও অজ্ঞানতার হেতু হইয়া থাকে । "পরিয়া লওয়া যাউক যে আমাদের দেশের এই জাগরণ সুনিদ্রার পরের