পাতা:বংশ-পরিচয় (দ্বাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৫৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ডাক্তার যতীন্দ্ৰনাথ মৈত্র 8心y সংনিয়ন্ত্রিত হইয়া আসতেছে । আমরা পাশ্চাত্য সভ্যতার ঘাতপ্ৰতিঘাতে পাশ্চাত্য জগতের দোষটুকুর শুধু অনুকরণ করিয়াছি এবং গুণগুলি সম্পূর্ণ অবহেলা করিয়াছি। আর সেরূপ করিলে চলিবে না । “আমাদের দেশে মানুষ হইবার উপকরণ একেবারে নাই”-ই হাই বুঝান আজ আমার উদ্দেশ্য নয় - আমার বলিবার প্রধান উদ্দেশ্য এই যে, আমাদিগকে চরম লক্ষ্যের দিকে দৃষ্টি স্থির রাপিয়া আমাদের দেশে প্ৰকৃত মানুষ গঠন করিতে হইবে এবং কোনও কাজেই আমাদিগকে আর পরমুখাপেক্ষী হইয়া থাকিলে চলিবে না। পরনির্ভরতার চেয়ে জাতীয়জীবনের আর কোনই মহান অন্তরায় দেখা যায় না । এই পরাধীনতা আমাদের দেশের যে প্ৰভূত ক্ষতি করিয়াছে -আমাদের জাতীয়জীবনকে যে একেবারে পঙ্গু করিয়া দিয়াছেআমাদের দেশীয় শিল্প-বাণিজ্যের যে বিশেষভাবে সঙ্কোচ করিয়াছে এবং আমাদের প্রত্যেক কাজেই যে আত্মপ্ৰত্যয়বিহীনতা ( Slave mentality ) আনয়ন করিয়াছে তাহা চিন্তাশীল ব্যক্তিমাত্ৰই স্বীকার করিতে বাধ্য । ইহা বড়ই পরিতাপের বিষয় যে, পরনির্ভরতা আমাদের দেশের শিক্ষিতসমাজের মধ্যেই বেশী । পল্লীবাসী দরিদ্র কৃষকগণ কিম্বা অশিক্ষিত বা অল্পশিক্ষিত গরীব ভদ্রলোকগণ এখনও সহরের বিলাসিতার স্রোতে ভাসিয়া যায় নাই এবং এখনও গ্রামস্থ গরীব কুটীরবাসী গৃহস্থীগণ স্বদেশজাত মোটা কাপড়ই লজ্জা-নিবারণের জন্য ব্যবহার করিয়া থাকেন । এই ফরিদপুব জিলায় পূর্বে র্তীতের ব্যবসাতে প্ৰায় ৬০ হাজার লোকের অন্ন সংস্থান হইত। কিন্তু আজ তাহ অৰ্দ্ধেকে পরিণত হইয়াছে। এই বস্ত্রশিল্পের পুনরুদ্ধার করতে হইলে, স্বদেশী বস্ত্রব্যবহারই আমাদের এখন সর্বপ্রধান কৰ্ত্তব্য । আমাদের দেশে প্রতি বৎসর প্রায় ৬০ কোটী টাকার বিদেশজাত বিস্ত্রের আমদানী হইয়া থাকে। শুধু স্বদেশী বস্ত্ৰ গ্ৰহণ করিলেই