পাতা:বংশ-পরিচয় (দ্বাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৬২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বগীয় যোগেন্দ্ৰনাথ বসু (ς ο Ο প্রীতিলাভ করিতে পারেন নাই ; বরং তিনি দেখিলেন যে, অনুষ্ঠান - গুলিতে ধৰ্ম্ম বলিয়া কোনও পদার্থ নাই । সমস্ত ব্যাপারটা একটি • পাহাড়ম্বর ও ব্রাহ্মণগণের প্রাপ্তির উপায় মাত্র । প ২ বৰ্ত্তী কালে ভিনি বলিতেন,-মৃত্যুর পর জীবন আছে কি না তাহা আমি জানি না ; যদি পরলোক থাকে, তা হা হইলে মৃত ব্যক্তি তথায় সুখে স্বচ্ছন্দে কখনই অবস্থান করিতে পারেন না । আমি স্পষ্টই দেখিতে পাইতেছি যে, শ্রাদ্ধে মুত ব্যক্তিব পুত্ৰগণ যেভাবে অৰ্থ ব্যয় করেন তাহাতে নিশ্চয়ই মুত ব্যক্তি পরলোকে সুখে অবস্থান করিতে পারেন না । এই ধারণাবা বশবৰ্ত্তী হইয়া তিনি প্ৰচলিত প্ৰথানুসারে শ্রা*ে অর্থব্যয় করিতে নিষেধ করেন , এমন কি, কহিকে ও তিনি অশৌচ পালন করিতে ও উপদেশ দেন নাই । কাবণ তিনি বলেন, মৃত্যু হইতে পরিত্রাণ কাহারও নাই , ইহ। প্রকৃতির বিপান । সুতরাং শান্য পদে থাকিলে ও অন্যান্য নানাবিধ ক্লেশ স্বীকার করিলে মুতে বা বা অশৌচ-পালনকারী কাহার ও কোনও কল্যাণ হয় না । বিশেষতঃ কোনও পরলোকগত পিতামাতাই তাহাদের সন্তানকে অশৌচ-পালনেব নামে, কোনও প্রকার উপকারপ্ৰাপ্তির সম্ভাবনা না থাকিলেও, কষ্টভোগ করিতে দেখিলে নিশ্চিতই তৃপ্তিলাভ করিতে পারেন না । তিনি বলিতেন,- শ্ৰাদ্ধ ব্যাপারটাই ষোল আন কাল্পনিক, মিথ্যা ও অদ্ভুত । পিতার মৃত্যুর পর তিনি তঁহাদের প্রাচীন বসতবাটী ভাঙ্গিম। ফেলেন এবং উহারই উপর রেল লাইনের পার্শে “ৱান্তন লজ’ নামক তিন বাটী নিৰ্ম্মাণ করেন । এই সুবৃহৎ সৌধ নিৰ্ম্মাণ করিতে প্ৰায় দীর্ঘ ৫ বৎসর কাল অতিবাহিত হইয়াছিল। এই সময়ে তিনি তঁাহার। ভ্ৰাতৃবৰ্গকে লইয়। কলিকাতায় ৫০ নং মির্জাপুর স্ত্রীটের বাড়ীতে অবস্থান করিতেন ।