পাতা:বংশ-পরিচয় (দ্বাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৬৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাণ্ডারপুরের চৌধুরী বংশ R O ) পড়িলে, নবাবের আদেশমত র্তাহাদিগকে তলপ দিয়া মুর্শিদাবাদে হাজির করা হইত এবং অনেক সময় এই উপলক্ষে তাহাদিগকে অনেক লাঞ্ছনা ভোগও যে না করিতে হইত, তাহা নয়। এইজন্য সাধারণতঃ রাজা-জমিদারেরা নবাব-সরকারে উপস্থিত হইতে অত্যন্ত ইতস্ততঃ করিতেন। যাহা হউক, কোন ঘটনা-উপলক্ষে দিনাজপুরের তদানীন্তন রাজা বাহাদুর যদুবীরের চেষ্টায় পরম সমাদরে নবাবদরবারে গৃহীত এবং সম্মানিত হন। সেই হইতে রাজা বাহাদুরের সাহিত যদুবীরের বিশেষ বন্ধুত্ব হয় এবং তিনি যদুবীরকে যথেষ্ট অনুগ্ৰহ করিতেন । এই সূত্রে পরে ষানুবীরের প্রপৌত্র নীলকান্ত মজুমদাব দিনাজপুরের মহারাজা বাহাদুরের এষ্টেটের দেওয়ান নিযুক্ত হইযাছিলেন এবং কিছুদিন দক্ষতার সািহত দেওয়ানী করিয়া ছিলেন । যদুবীরের দুই পুত্ৰ হরিদেব মজুমদার ও শিবকৃষ্ণ চৌধুরী ; এক পুত্ৰ মজুমদার ও অপর পুত্ৰ চৌধুরী। এই সময়ে তাহারা জ্ঞাতি-বিরোধে ও অন্যান্য নানা কারণে গুড়ানই পরিত্যাগ করিয়া ভাণ্ডারপুরে আসিয়া বাস করেন। ভাণ্ডারপুর দিনাজপুরের মহারাজার জমিদারীর অন্তৰ্গত এবং তৎকালে খুব সমৃদ্ধ স্থান ছিল । ভাণ্ডারপুর এবং আরও পার্শ্ববৰ্ত্তী ৫ খানি গ্রাম মহারাজা বাস্কাদুর ইহা দিগকে ইন্তমুবার দান করেন। হরিদেব মজুমদারের দুই পুত্ৰ-গঙ্গাহরি ও রমাকান্ত ; রমাকান্তের পুত্ৰ নীলকান্ত ; এই নীলকান্তই দিনাজপুরের মহারাজার দেওয়ান ছিলেন। ইনি নিঃসন্তান ছিলেন। অপর ভ্রাতা গঙ্গাহারির পুত্র রামকান্ত ; রামকান্তের পুত্ৰ রীতিকান্ত ; ঠিাহার পুত্ৰ রুক্মিণীকান্ত । রুক্সণীকান্ত মজুমদার নিঃসন্তান অবস্থায় পরলোক গমন করেন এবং সেই সঙ্গে মজুমদার-বংশ ফেীত হয়। রাতকান্ত মজুমদারের স্বহস্তে-লিখিত ‘শ্ৰীকবিকঙ্কণ' পুথি ইহাদের নিকট আছে। পুথিখানি বাঙ্গালা সন ১১৫৬ সালে রতিকান্ত